আওয়ার ইসলাম: স্মার্টফোন এখন দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য অংশ হয়ে গেছে। তবে অনেকে স্মার্টফেনের ক্ষেত্রেও আভিজাত্যের বিষয়টি মাথায় রাখেন। প্রযুক্তিপণ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলোও চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন দামের স্মার্টফোন বাজারে ছাড়ে। প্রযুক্তি বাজারে যে স্মার্টফোনগুলো পাওয়া যায়, সেগুলোর দাম কেমন হতে পারে কিংবা তার ফিচারগুলো কেমন এ নিয়ে অনেকের আগ্রহও থাকে ব্যাপক।
‘গ্যাজেটস নাউ’ বিশ্বের সবচেয়ে দামি ১০টি ফোনের ফিচার ও সেগুলোর মূল্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করেছে। এই ফোনগুলোর মূল্য প্রযুক্তি বাজারে আলোড়ন তৈরি করা ‘আইফোন ১০’র চেয়েও বেশি।
দ্য ডায়মন্ড ক্রিপ্টো: ডায়মন্ড ক্রিপ্টো বিশ্বের দামি ফোনগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ স্মার্টফোনটি তৈরি করা হয়েছে যারা নিরাপত্তাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেন তাদের জন্য। স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম ‘উইন্ডোজ সিই’ আর প্রসেসর মটোরোলা এমএক্স ২১। নিয়ন্ত্রিত ভয়েস ও এসএমএস যোগাযোগের বাইরে যারা থাকতে চান তাদের কথা মাথায় রেখে ‘দ্য ডায়মন্ড ক্রিপ্টো’ স্মার্টফোনটি তৈরি করা হয়েছে। ফোনটির মূল্য প্রায় ৯ কোটি রুপি। তবে ‘দ্য ডায়মন্ড ক্রিপ্টো’ এখন আর বাজারে পাওয়া যায় না।
ভিআইপিএন ব্ল্যাক ডায়মন্ড: স্মার্টফোনটির ডিজাইন ও উপাদানের কারণে এটি দামি ফোনগুলোর একটি। স্মার্টফোনটিতে রয়েছে মূল্যবান ডায়মন্ড। ভিআইপিএন ব্ল্যাক ডায়মন্ড এর বাজার মূল্য ২.০৭ কোটি রুপি। বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় আড়াই কোটি টাকা।
সাভেলি শ্যাম্পেন ডায়মন্ড: স্মার্টফোনটি তৈরি করা হয়েছে ১৮ ক্যারেট সোনার পাত দিয়ে। এছাড়াও ফোনটিতে রয়েছে সাদা ও কনিয়াক ডায়মন্ড। স্মার্টফোনটির অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড। বাজারমূল্য প্রায় ৪০ লাখ রুপি। বাংলাদেশি টাকায় ৪৮ লাখ।
গোল্ডভিশ লি মিলিয়ন: গোল্ডভিশ লি মিলিয়ন স্মার্টফোনটির ডিসপ্লেতে কোনরকম স্ক্র্যাচ পড়বে না। ফোনটির ডিসপ্লে ক্যাপাসিটি টাচ স্ক্রিনের ও ৫.৫ ইঞ্চি আয়তনের। ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ও প্রসেসর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন। ৫.২৭ লাখ রুপির ফোনটি বাংলাদেশি মুদ্রায় পড়বে প্রায় সাড়ে ৬ লাখ টাকা।
গোল্ডভিশ এক্লিপস- ম্যাজিক অনিক্স অ্যালিগ্যাটর: ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ও প্রসেসর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন। যার বাজারমূল্য ৫.৫ লাখ রুপি, বাংলাদেশি টাকায় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ টাকা। ফোনটিতে কুমিরের চামড়াও ব্যবহার করা হয়েছে।
সিরিন সোলারিন: স্মার্টফোনটি নিরাপত্তার ক্ষেত্রে খুবই ভালো। ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ। বাজারমূল্য বাংলাদেশি টাকায় দাঁড়ায় প্রায় ১১ লাখ টাকা।
হুয়াওয়ে মেট ১০: হুয়াওয়ের দামি ফোনগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘হুয়াওয়ে মেট ১০’। ফোনটি বাজারে পাওয়া যাবে কালো রংয়ের ডায়মন্ড ডিজাইনে। হুয়াওয়ে মেট ১০ এর বাজার মূল্য পড়বে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩১৮ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় দাঁড়ায় ২ লাখ ১৮ হাজার ৯২১ টাকা।
অনার নেট ১০ রোলস রয়েস: অনার নোট ১০ রোলস রয়েস বাজারে এনছে হুয়াওয়ে। এটি অনার নোট ১০ এর উচ্চমূল্যের সংস্করণ। স্মার্টফোনটির বাজার মূল্য ১ লাখ ২ হাজার ৩৯৩ রুপি, যা বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ২৫ হাজার।
অপো এক্স ল্যাম্বারঘিনি সংস্করণ: অপো এক্স তার নতুন সংস্করণ অপো এক্স ল্যাম্বারঘিনি বাজারে এসেছে। অপোর এ স্মার্টফোনটির বাজার মূল্য দেড় লাখ রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় হয় ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
তনিনো ল্যাম্বারঘিনি আলফা ওয়ান: অভিজাত এ স্মার্টফোনটি ইতালিয়ান ব্ল্যাক লেদারসহ বিভিন্ন স্টাইলে ডিজাইন করা হয়েছে। ফোনটির অপারেটিং সিস্টেম অ্যান্ড্রয়েড নোগাট, প্রসেসর কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮২০। ফোনটির র্যাম ৪ জিবি ও ইন্টারনাল স্টোরেজ ৬৪ জিবি। ফোনটির বাজারমূল্য বাংলাদেশি টাকায় ২ লাখ ৬৫ হাজার।
সূত্র: গেজেট নাও. টেক ওয়ার্ল্ড, বাংলানিউজ।
আরও পড়ুন: প্রচলিত ১০টি হারাম কাজ, যেখানে ডুবে বিশ্ব মুসলিম
আরএম-