আওয়ার ইসলাম: দেশে বিদ্যুৎ পরিস্থিতির ব্যাপক উন্নতি হলেও রাঙামাটির বরকল, বিলাইছড়ি ও জুরাছড়ি উপজেলার অনেক ইউনিয়ন বিদ্যুৎহীন। কাজে আসছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ডিজিটাল ল্যাব। ব্যাংকসহ অন্যান্য সরকারি প্রতিষ্ঠানে ব্যাহত হচ্ছে নাগরিক সেবা।
১৯৬০ সালে কাপ্তাইয়ের কর্নফুলী নদীতে বাঁধ দিয়ে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত হয় রাঙামাটির বাসিন্দারা। অথচ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের ৫৮ বছর পরও বিদ্যুৎহীন রয়ে গেছে জেলার বেশিরভাগ এলাকা।
২০১৫ সালে বরকল, বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেয় সরকার। কিন্তু বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নাজুক হওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।
উপজেলা শহর কেন্দ্রিক বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হলেও জেলার ৫০টি ইউনিয়নের বেশিরভাগই এখনও বিদ্যুৎহীন। ঘন ঘন লোডশেডিং এবং কম ভোল্টেজের কারণে বিড়ম্বনায় গ্রাহক। পরিস্থিতির উন্নতির দাবিতে আন্দোলনেও নেমেছেন তারা।
তিন উপজেলায় মাধ্যমিক স্কুল ২১টি, কলেজ ২টি। প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসা তো আছেই। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেকগুলোতেই রয়েছে সরকারের ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব, মাল্টিমিডিয়া শ্রেণিকক্ষ। কিন্তু বিদ্যুতের অভাবে কাজে আসছে না।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, জেলার তিন উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের দৈর্ঘ্য ১৩২ কিলোমিটার। এ লাইনগুলোর সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ না থাকায় কোথাও ত্রুটি হলে তা বের করা কঠিন, তাছাড়া বিদ্যুৎ বিভাগের জনবল কম থাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যাহত হচ্ছে। এ পরিস্থিতির দ্রুত অবসান চান স্থানীয়রা।
শিশুর হাতে মোবাইল কতটা ভয়ঙ্কর? দূর করবেন কিভাবে?