আবদুল্লাহ তামিম: দয়াময় আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে লাব্বাইক বলতে বায়তুল্লাহর দিকে ছুটে যাচ্ছেন অসংখ্য মুসলমান।
আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে সরকারি ব্যবস্থাপনার ৪১৮ জন হজ যাত্রী নিয়ে জেদ্দা রওনা হয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের প্রথম হজ ফ্লাইট।
এ ফ্লাইটের মাধ্যমেই শুরু হলো বাংলাদেশ থেকে এ বছরের হজ ফ্লাইট।বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমানমন্ত্রী ও ধর্মমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে বিমানে দোয়া করে শুরু হয় এ হজযাত্রা।
সরকারি বেসরকারি মিলে এ বছর বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১শ’ ৯৮ জনের হজে যাওয়ার কথা রয়েছে। তাদের প্রতি বাংলাদেশের বিজ্ঞ আলেমগণ শুভেচ্ছা জানায়।
বাংলাদেশের প্রখ্যাত মু’য়াল্লিমুল হুজ্জাজ, মালিবাগ বায়তুল আজিম শহিদি জামে মসজিদের খতিব, জামিয়া মদিনাতুল উলূম ভাটারা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা সাদেক আহমদ সিদ্দিকী হাজিদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, তারা যেনো ঠিক মত আল্লাহর ঘরে জিয়ারত করতে পারে ও সব ধরনের বিপদ আপদ থেকে মুক্ত থাকতে পারে সে জন্য আমি আল্লাহর দরাবারে দোয়া করি।
আর এবারের হজযাত্রীদের বলবো তারা যেনো আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে, যে আল্লাহ তায়ালা তাদের বায়তুল্লাহ যিয়ারতে কবুল করেছেন।
যেহেতু আল্লাহ তায়ালা আপনাদের কবুল করে সে দেশে নিয়ে গিয়েছেন, বায়তুল্লাহ যিয়ারত করার তাওফিক দিয়েছেন তাই আল্লাহর কাছে বলবেন আল্লাহ যেনো আমাদের সবার গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেন।
মুসলমানদের মধ্যে যারা হজে যেতে পারেনি তারা যেনো েহজে যেতে পারেন সে দোয়া করেবেন। আল্লাহ আপনাদের হজ কবুল মঞ্জুর করেন।
গাউসুল আজম জামে মসজিদ, উত্তরা, ঢাকার খতিব, বিশিষ্ট মুফাসসিরে কুরআন মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী এ বছর হজে যাওয়া বায়তুল্লাহর মুসাফিরদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, হাজিদের সবচেয়ে বড় সম্বল হলো তাকওয়া।
অাল্লাহ ভীতি যদি না থাকে তাহলে সে অনেক দামি বিল্ডিংয়ে আরাম আয়েশে থেকেও আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারবে না। আবার অনেক গরিবি অবস্থায়ও তার হৃদয়ে যদি তাকওয়াল্লাহ বা আল্লাহভীতি থাকে তাহলে তার হজ্জে মাবরুর নসিব হতে পারে।
তাই হজযাত্রীদের উদ্দেশ্য নিয়্যত ঠিক ও শুদ্ধ রাখা চাই। যে তার মাঝে আল্লাহর ভীতি যত বেশি রাখবে সে ততবেশি আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করতে পারবে। আল্লাহ তায়ালা সব বায়তুল্লাহর মুসাফিরের হজ কবুল করুন সে দোয়াই করি।
মক্কা ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী, দারুল উলূম কাকরাইল মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি খোরশেদ আলম হজযাত্রীদের উদ্দিশ্য করে বলেন, প্রথমত আমি হাজিদের বলবো বাংলাদেশের মানুষ খুব বেশি আবেগ প্রবণ হয়ে পড়ে। বায়তুল্লাহয় গিয়েই কঠিনভাবে ইবাদরত লিপ্ত হয়ে যায়।
যার জন্যে মূল হজের সময় তারা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাই আমি বলবো তারা সৌদি গিয়েই অতি আবেগে বেশি ইবাদত করে অসুস্থ না হয়ে পড়ে। নিজেদের শরীরের দিকে সর্বপ্রথম সজাগ দৃষ্টি রাখবে।
দ্বিতীয়ত হজের ফরজ ও ওয়াজিবগুলো নিখুঁতভাবে আদায় করার চেষ্টা করা। নফলের পেছনে পড়ে ফরজ ওয়াজিব যেনো ছুটে না যায়। মিনা মুজদালিফা তাওয়াফ করার প্রতি বেশি গুরুত দেয়া।
তৃতীয়ত বলবো বাংলাদেশি আমরা আরবে গিয়ে নফল নামাজে বা নফল ইবাদতে নিজেদের বেশি ব্যস্ত রাখি। অথচ দেশে আমরা অনেকে ঠিক মত ফরজ নামাজটা আদায় করি না।
তাই ওখানে আমাদের যাদের ওমরি নামাজ কাজা আছে সেগুলো আদায় করবো আপনার সাওয়াব আরো বেশি হবে।
এভাবে যদি আমরা আল্লাহকে পাওয়ার জন্য ইবাদত করি তাহলে আশা করা যায় আল্লাহ আমাদের হজ ও ওমরা কবুল করবেন। আল্লাহর নিকট সব হাজিদের সুস্থতার দোয়া থাকলো।
অারও পড়ুন –
ক্রাউন প্রিন্স সম্পর্কে মন্তব্য করায় গ্রেফতার আরেক সৌদি আলেম
ইসরায়েলি সেনাকে অভিশাপ দেয়া এক বৃদ্ধর ছবি ভাইরাল
দ্রুত বিয়ে করতে যে আমলটি করবেন