রকিব মুহাম্মদ
অাওয়ার ইসলাম
পাকিস্তানে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর বেলুচিস্তান আওয়ামী পার্টি (বিএপি) এর এক নির্বাচনী সভায় বোমা হামলার ঘটনায় ১৩৩ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন অন্তত ১৫০ জন।
নিহতদের মধ্যে দলের নেতা ও আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের প্রার্থী নওয়াবজাদা সিরাজ রাইসানীও আছেন। সিরাজের নির্বাচনী প্রাচরণার জন্য আয়োজিত একটি ছোট সভায় ওই বোমা বিস্ফোরন ঘটে। সিরাজ বালুচিস্তানের চিফ মিনিস্টার নওয়াব আসলাম রাইসানির ছোট ভাই।
বেলুচিস্তানের মাস্টাং জেলায় নির্বাচনী প্রচারণায় মঞ্চের খুব কাছে এই বোমা হামলা হয়।
এদিকে, শুক্রবার দিনের আরো আগের দিকে উত্তরাঞ্চলীয় বান্নু শহরে আরেকটি নির্বাচনী সমাবেশে বোমা হামলায় চারজন নিহত হয়।
গত মঙ্গলবার উত্তরাঞ্চলীয় পেশাওয়ার শহরে একটি নির্বাচনী সমাবেশে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ২২ জন নিহত হয়।
মাসতুং-এ শুক্রবারের হামলায় যতো মানুষের প্রাণহানি হয়েছে, পাকিস্তানে গত এক বছরেরও বেশি সময়েও, একক কোন হামলায় এতো ব্যাপক সংখ্যক মানুষের হতাহত হওয়ার ঘটনা আর ঘটেনি।
আাগামী ২৫শে জুলাই পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের আগে আরো সহিংসতার ঘটনা ঘটতে পারে।
বিবিসির এক সাংবাদিক বলছেন, সবশেষ এই হামলার ঘটনাটি পাকিস্তানে একেবারেই অপ্রত্যাশিত ছিল। সোনাবাহিনী একদিকে যেমন দাবি করছে যে তারা জঙ্গিদের তাড়িয়ে দিয়েছে, তেমনি এরকম একটি হামলার ব্যাপারে কাছ থেকে কোন হুমকিও ছিল না।
এর আগে, ২০১৩ সালের নির্বাচনের আগে সন্ত্রাসীরা আগাম হুমকি দিয়েছিল। ফলে তখন কিছু কিছু রাজনৈতিক দল খুব কমই প্রচারণা চালিয়েছিল। কিন্তু এবার হামলার আগে তেমন কোনো হুমকি আসেনি। ফলে এ ধরনের হামলার কোনো আশঙ্কাই ছিল না।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে অস্থিরতা তৈরি করতেই এ ধরনের হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নির্বাচনে অংশ নেয়া দলগুলোই আক্রমণের লক্ষ্য হয়ে উঠেছে। আর আক্রমণকারীদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, এসব দল যাতে নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে না পারে সেজন্য নানাভাবে তাদের বাধা দেয়া। সবশেষ এই হামলার পর নির্বাচনের আগে নতুন করে উত্তেজনার সৃষ্টি হতে পারে।
আরও পড়ুন -
ক্রাউন প্রিন্স সম্পর্কে মন্তব্য করায় গ্রেফতার আরেক সৌদি আলেম
ইসরায়েলি সেনাকে অভিশাপ দেয়া এক বৃদ্ধর ছবি ভাইরাল
দ্রুত বিয়ে করতে যে আমলটি করবেন
অারএম/