আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাজ্যের স্কুলে মেয়ে শিশুদের হিজাব পরিধানের ওপর দেশটির শিক্ষা দপ্তরের নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেছেন দেশটির একজন নারী শিক্ষিকা।
হিজাব নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে তার শক্তিশালী অবস্থান সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। তার প্রেরণাদায়ী এই বক্তৃতা ইতোমধ্যে ভাইরাল হয়ে গেছে।
যুক্তরাজ্যের ব্রাইটনে অনুষ্ঠিত ‘নিউ-নেট’ সেকশন অ্যানুয়াল কনফারেন্স-২০১৮’এ দেয়া বক্তব্যে লতিফা আবুচাকার এটিকে ‘পেশিশক্তির উদারনীতি’ হিসাবে উল্লেখ করেছেন।
তিনি এটিকে ইসলাম বিদ্বেষ ও বর্ণবাদের আরেকটি ভাষা হিসাবে বর্ণনা করেন।
লতিফা আবুচাকার জানান, তিনি তার ধর্মীয় বিশ্বাসের জন্যই হিজাবকে বেছে নিয়েছেন এবং তার পছন্দের স্বাধীনতা কেড়ে নেয়ার অধিকার কাউকে দেয়া হয়নি বলে তিনি জানান।
প্রথমবারের মতো সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণার অনেক আগেই আজ থেকে ১৪০০ বছর পূর্বে আমার বিশ্বাস আমাকে পছন্দের স্বাধীনতা দিয়েছে।
আমি হিজাব পরিধান করি, তা আমার বাবা চায়নি, আমি নিজেই এটি বেছে নিয়েছি। আমার মতো বিশ্বাসীদের জন্য ধর্মীয় বিধান বেছে নেয়ার অধিকার থাকা উচিৎ। হিজাবের মাধ্যমে আমি আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতার অভিব্যক্তি প্রকাশ করছি। এটি আমাকে এবং আমার মত অনেক নারীকে ক্ষমতা প্রদান করেছে। এটি আমাদের নিজেদের জন্য সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম করেছে।’
শিশুদের শিক্ষা নিয়ে কাজ করা লতিফা আবুচাকার, যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের কয়েকটি দেশের স্কুলে মেয়ে শিশুদের হিজাব পরিধানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করেন।
-দ্য ইন্ডিয়ান একপ্রেস, ইকনা
-আরআর