হামিম আরিফ: আগামী ৩০ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বরিশাল সিটি নির্বাচন। এতে কে কত ব্যয় করবেন এবং উপর্জনের উৎস কী তা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক নির্বাচনী ব্যায় বেঁধে দেয়া হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা। আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুই মেয়র প্রার্থী ১৫ লাখ টাকাই খরচ করবেন বলে হলফনামায় লিখেছেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী মজিবর রহমান সরোয়ারের নির্বাচনী ব্যয় করবেন ১৫ লাখ টাকা। এ টাকা পুরোটাই তার নিজের বলে জানিয়েছেন।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহও ১৫ লাখ টাকা খরচ করবেন। তবে তিনি অর্থপ্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসের মধ্যে বাবা ও ভাইয়ের কাছ থেকে দান বাবদ ১১ লাখ টাকার কথা উল্লেখ করেছেন। বাকিটা নিজের।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী মাওলানা ওবাইদুর রহমান মাহবুব নির্বাচনে ব্যয় করবেন ৫ লাখ টাকা।
এ টাকা আয়ের উৎসের মধ্যে রয়েছে শিক্ষক হিসেবে নিজের বেতন এবং হাদিয়া বাবদ রয়েছে ১ লাখ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন ব্যক্তিদের কাছ থেকে দান হিসেবে তিনি পাবেন আরো ৪ লাখ টাকা। নির্বাচনে মোট ১০০ জন কর্মী তার প্রচার প্রচারণায় কাজ করবে বলে তিনি তথ্য দিয়েছেন হলফনামায়।
এ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মেয়র প্রার্থী ইকবাল হোসেন তাপস ১২ লাখ টাকা খরচের কথা হলফনামায় লিখেছেন। ব্যয়ের এ অর্থ নিজস্ব ব্যবসার আয় থেকে খরচ করবেন তাপস।
এদিকে খেলাফত মজলিসের প্রার্থী একেএম মাহবুব আলমের হলফনামায় নির্বাচনী ব্যয় বাবদ মোট ৭ লাখ টাকার কথা জানিয়েছেন।
হলফনামা অনুযায়ী মাহবুব আলমের অর্থ প্রাপ্তির সম্ভাব্য উৎসের মধ্যে নিজস্ব আয় অর্থাৎ চাকরির সঞ্চিত অর্থ বাবদ ৫০ হাজার টাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি খেলাফত মজলিসের দলীয় কর্মীরা অর্থাৎ পার্টি থেকে আসবে আড়াইলাখ টাকা। নিজের ভাই মো. শাহ আলমের কাছ থেকে হাওলাদ বাবদ নিবেন ১ লাখ টাকা। আত্মীয়ের বাইরে আরো ১ জনের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা ধার বা কর্য বাবদ নিবেন এই প্রার্থী। এছাড়া স্বেচ্ছাপ্রণোদিত প্রদত্ত দান হিসেবে প্রাপ্ত সম্ভাব্য অর্থের মধ্যে ঢাকায় বসবাসরত চাকরিজীবী ভাগিনা (আত্মীয়) রাজিবুল হোসেন তালুকদারের কাছ থেকে ১ লাখ টাকা এবং আত্মীয়ের বাইরে বরিশালের আরো ১ জন ব্যক্তির কাছ থেকে ১ লাখ টাকার কথা হলফনামায় উল্লেখ করেছেন। ফলে ২ লাখ টাকা ২ জনের কাছ থেকে দান বাবদ পাবেন এ মেয়র প্রার্থী।
সিপিবি’র মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ মোট ২ লাখ ৯৫ হাজার টাকা ব্যয় করবেন। তিনি নিজস্ব আইন ব্যবসা থেকে আয় দেখিয়েছেন ৭৫ হাজার টাকা। মামা পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট আ. খালেক তাকে ধার বা কর্য বাবদ দিবেন ৬০ হাজার টাকা। এছাড়া আত্মীয়ের বাইরে বরিশালের ২ ব্যক্তির কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা ধার বা কর্য বাবদ দেখিয়েছেন। বাকি টাকা কর্মীদের দান থেকে আসবে বলে জানিয়েছেন।
বাসদ’র মেয়র প্রার্থী ডাঃ মনিষা চক্রবর্তী সবচেয়ে কম ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ব্যয় করবেন। এসব অর্থ প্রাপ্তির উৎসের কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। যারমধ্যে ১ লাখ টাকা তার নিজস্ব আয়। এছাড়া মামা রবিন্দ্রনাথ মূখার্জী এবং ভাই সৌমিত্র শর্মার কাছ থেকে দান বাবদ পাবেন ৫০ হাজার টাকা। আত্মীয়ের বাহিরে দুই ব্যক্তি ডা. মঈন আহম্মেদ এবং মোস্তাফিজুর রহমান আরো ৫০ হাজার টাকা দেবেন তাকে। এর সাথে যোগ হয়েছে বিভিন্ন ব্যাক্তি এবং প্রতিষ্ঠান থেকে সংগৃহীত (গনচাঁদা) ৪৫ হাজার টাকা।
প্রিয় তাবলিগি ভাইয়েরা এবার একটু ক্ষান্ত দিন!
-আরআর