শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম  ‘সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন’ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসানের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোকপ্রকাশ কাল ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় রোজায় বাজার সহনশীল রাখার চেষ্টা করা হবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে বিএনপি মহাসচিবের শোক

তুরস্কে বাংলাদেশের সুনাম ছড়াচ্ছেন আহমদ আমীন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

সুফিয়ান ফারাবী
বিশেষ প্রতিবেদক

আহমদ আমীন কওমি মাদরাসার ছাত্র। পড়াশুনা করেছেন জামিয়া আরাবিয়া রাহমানিয়া, জামেয়া জামেউল উলুম, ও জামেয়া মঈনুল ইসলাম হাটাজারী থেকে। বাংলাদেশের বেফাক বোর্ডের প্রতিটি পরিক্ষাতে ভলো রেজাল্ট করেন। শরহে বেকায়ায় মেধাতালিকায় ৬ষ্ট এবং দাওরা হাদিসে মেধাতালিকায় ২০ তম স্থান অধিকার করেন।

পাশাপাশি মাদরাসা বোর্ড (আলিয়া) থেকে SSC তে A+ ও HSC তেও পেয়েছিল A+। তার এই সফলতায় তুরস্ক সরকারের দিয়ানাত ফাউন্ডেশন তাকে স্কলারশিপ দিয়ে নিয়ে যান তুরস্কে।

তার্কিশ তার ভাষা না। তার জানা অন্য কোন ভাষার সাথে তার্কিশের তেমন কোনো মিলও নেই। তুরস্ক শীত প্রধান দেশ। প্রচণ্ড ঠাণ্ডা। তার ওপর তুরস্কের খাবারের সাথে বাংলাদেশের খাবারেও রয়েছে খুব বৈরিতা।

বৈরী পরিবেশ, বৈরী আবহাওয়া, খাবারের ভিন্নতা, এতোসব বৈরীও দমিয়ে রাখতে পারেনি আহমদ আমীনকে। তিনি তুরস্কের মাটিতেও নিজের মেধার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছেন।

তুরস্কের কায়সেরি শহরে যে ইউনিভার্সিটিতে তিনি পড়েন, সেই ভার্সিটির ইসলামি ফেকাল্টির ফার্স্ট বয় সে। তাকে নিয়ে গর্ব করেন তার বিভাগের প্রফেসররা । এ যাবত যে কয়টা পরীক্ষাই তিনি দিয়েছেন, সবগুলোতেই সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়েছেন। তুরস্কে থাকা বাংলাদেশি ছাত্রদের কাছে তিনি এখন আইডল ।

শুধু পড়াশোনাতেই নয়, তার মনমুগ্ধকর কুরআন তিলাওয়াতের কারণে তিনি তুরস্কের এক ঐতিহাসিক মসজিদে তারাবিও পড়ান এবং সুরেলা কণ্ঠে তুর্কিদের আকর্ষণ কেড়েছেন ।

শুধু তুরস্কেই নয়। আহমদ আমীন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিন মাসের ছুটি পেয়েছিল দেশে আসার জন্য। কিন্তু দেশে না এসে তিনি সুদানে যান আরবি ভাষার ওপর উচ্চতর কোর্স করার জন্য, এবং সেখানেও সফলতা দেখাতে সক্ষম হন।

তার এই সফলতার রহস্য কী, তা জানতে চাইলে তিনি আওয়ার ইসলামকে বলেন, আমি গর্বিত কওমি মাদরাসায় পড়েছি বলে। কারণ আমি যদি সফলতা পেয়েই থাকি তাহলে পেয়েছি একমাত্র কওমি মাদরাসায় পড়ার কারণে।

আর আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি আমার সকল উস্তাদের প্রতি ও আমার বাবা-মার প্রতি। যাদের মেহনত ও দোয়াই আমাকে এতদূর এনেছে।

আপনার অনুজ, যারা আপনার মতো দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে চায়, তাদের ব্যাপারে আপনার পরামর্শ কী? এমন প্রশ্নের জবাবে আহমদ আমীন বলেন, আমি আমার শিক্ষার্থী বন্ধুদের বলবো আপনারা আগে নিজের ভীত (কওমি মাদরাসার পড়াশুনা) মজবুত করুন।

তারপর আলিয়ায় পড়ুন, তাতে কোনো আপত্তি নেই। তবে সবার আগে নিজের মৌল ঠিক রাখা চাই।

তুর্কির কাসেম নানুতবি মাহমুদ আফেন্দির শিষ্য এরদোগান


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ