শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান ঢাকাস্থ চাঁদপুর ফোরামের সেতুবন্ধন সভা অনুষ্ঠিত অর্থবহ সংস্কারের আগে নির্বাচন নয়: প্রিন্সিপাল মোসাদ্দেক বিল্লাহ বিস্ময়কর হাফেজ শিশুর সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর জানাযা ও দাফন সম্পন্ন ১৬ টি বছর জুলুম-ষড়যন্ত্রের মধ্যে ছিল মাদরাসার ছাত্ররা: ড. শামছুল আলম  ‘সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায় সংস্কার কমিশন’ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসানের ইন্তেকালে খেলাফত মজলিসের শোকপ্রকাশ

মডেল মসজিদ তৈরির প্রকল্পে সৌদি অর্থায়ন বন্ধ কেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

রকিব মুহাম্মদ
আওয়ার ইসলাম

সৌদি আরবের অর্থায়নে দেশজুড়ে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মিত হওয়ার কথা। অথচ অনুমোদনের একবছর পেরিয়ে গেলে ‘প্রতিটি জেলা-উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র স্থাপন’ শীর্ষক এ প্রকল্পে অনুদান দিচ্ছে না দেশটির সরকার।

গতবছর প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। কিন্তু এখনও সৌদি আরবের সহায়তা পাওয়া যায়নি। ফলে মূল প্রকল্পটির প্রধান কার্যক্রম  এখনও শুরু করা হয়নি। এ কারণে প্রকল্পটি আবারও সংশোধন করা হচ্ছে।

সূত্র জানায়, এ প্রকল্পের প্রস্তাবিত ব্যয় ধরা হয়েছে ৯ হাজার ৬২ কোটি টাকা। এর মধ্যে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের অনুদান দেওয়ার কথা ৮ হাজার ৯২৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে মাত্র ৮২ কোটি টাকা দিয়েই বেকে বসেছে দেশটি। এ অবস্থায় হতাশ মসজিদ বাস্তবায়ন সংস্থা ইসলামিক ফাউন্ডেশন।

প্রশ্ন ওঠে, সৌদি আরব কেন প্রতিশ্রুত অর্থায়ন করছে না? সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসীহ জানিয়েছেন, ঐ প্রকল্পে অর্থায়নের বিষয়ে এখনো নেতিবাচক কিছু জানায়নি সৌদি আরব।

"এটা এমন নয় যে তাদের অর্থায়ন করার কথা, আমরা রিকোয়েস্ট করেছিলাম, তারা সম্মত হয়েছে। এখন তারা আমাদের মানা করেনি, বা রিগ্রেট করেনি। তবে কি, এ ধরণের বড় প্রকল্পে কিছুটা সময় লাগে, বারো পনের মাস লাগে। নাথিং আনইউজুয়াল" - বলেন তিনি।

মি. মসীহ জানিয়েছেন, হজ্জের মৌসুমের পর একটি সৌদি দল বিষয়টি নিয়ে আলাপ করতে বাংলাদেশে আসবে, এর পরেই হয়তো বিষয়টি সুরাহা হয়ে যাবে।

এদিকে, ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক সামীম মোহাম্মদ আফজালের কাছে জানতে চেয়েছিলাম, সৌদি অর্থায়ন পাওয়া না গেলে সরকার নিজেই কেন প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে?

তিনি বলেন, "তারা বলেছিল তারা টাকা দেবে, কিন্তু সেটা এখনো হাতে না পাওয়ায় সরকার কাজ শুরু করতে যাচ্ছে। এটা আল্লাহর ঘরের কাজ, পরে কেউ শরিক হতে চাইলে হবে, তাতে বাধা নেই। কিন্তু মসজিদের কাজ, আমরা তো ফেলে রাখতে পারি না।"

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে প্রতিটি জেলা এবং উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ তৈরি করার একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। পরে ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফরের সময় তার সঙ্গে বাদশাহ সালমান বিন আব্দুল আজিজ আল-সৌদের বৈঠকের পর বাংলাদেশের ঐ প্রকল্পে অর্থায়ন করতে সম্মত হয় দেশটি।

পরে ২০১৭ সালে প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেক সভায় অনুমোদন দেয়া হয়।সে সময়ই ২০১৯ সালের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় ধরা হয়।

কিন্ত এরপর এক বছর পেরিয়ে যাবার পরেও সৌদি আরবের অর্থায়ন না পাওয়ায় মঙ্গলবার সরকারের সাহায্য প্রাপ্তির বিষয়টি নিশ্চিত হয়নি।

এরপর গতকাল পরিকল্পনামন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল ঘোষণা করেন, সৌদি অর্থায়ন না পাওয়ায় এখন সরকার নিজেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত সংশোধিত প্রকল্প পাস হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি বা একনেক সভায়।

উল্লেখ্য, প্রকল্পটি ২০১৭ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মেয়াদে বাস্তবায়নের কথা। এখন এ মেয়াদ ২০২০ সালের ডিসেম্বর  পর্যন্ত বাড়ানোর প্রস্তাব করা হবে।

দেশের সব জেলা, সিটি করপোরেশন ও উপজেলায় মসজিদগুলো নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে ৬৪টি জেলায় ও উপকূলীয় এলাকায় ১৬টি চারতলা মসজিদ নির্মাণ করা হবে। বাকিগুলো হবে তিনতলা। এসব মসজিদে দৈনিক চার লাখ ৪০ হাজার।

আরও পড়ুন : দেশের সব উপজেলায় ৫৬০ মডেল মসজিদ নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ