মুফতি জাবের কাসেমী
১৪৩৯/৪০ হিজরি শিক্ষা বর্ষের কওমি মাদরাসা সমুহের ভর্তির সূচনা হচ্ছে আগামী শনিবার থেকে ৷ ঢাকাসহ দেশের অধিকাংশ কওমি মাদরাসা খুলছে শনিবারে ৷ ছাত্ররা যে যার এলাকা থেকে ইলম অন্বেষণে ছুটছে মাদরাসা পানে ৷
কিছু তালিবুল ইলম তাদের পুরাতন মাদরাসায় হবে৷ কিছু তালিবুল নতুন মাদরাসা তালাশ করবে৷ কিছু মাদরাসা ছাত্র তালাশ করবে ৷ এ অবস্থায় একজন তালিবুল ইলমের জন্য আসলে কোন মাদরাসা উপযুক্ত তা নির্ণয় করা খুবই কঠিন ৷
অনেক তালিবুল ইলম এ সময় তার মত আরেকজন আনাড়ি ছাত্রের পরামর্শে এমন প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করে, যা শেষ পর্যন্ত তার জন্য সুখকর হয় না৷
এ জন্য সব ছাত্রকে প্রতিষ্ঠান নির্বাচনের ক্ষেত্রে ওয়ালিদে মুহতারাম আল্লামা নূর হোছাইন কাসেমী তিনটি বিষয়ে খেয়াল রাখতে বলেন-
১. সোহবতে আহলে দিল৷ অর্থাৎ একজন ছাত্র যে প্রতিষ্ঠানে যাবে সেখানে যেন কমপক্ষে সে একজন আল্লাহ ওয়ালা ও নিসবত ওয়ালা বুযুর্গকে পায়৷ যার সোহবতে ছাত্রদের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরিণ পরিবর্তন হয়৷
২. তালিম ও তরবিয়ত ৷ তালিম বলতে আমরা কী বুঝি? মাদরাসার পক্ষ থেকে প্রথম সাময়িক, দ্বিতীয় সাময়িক এভাবে শেষ পর্যন্ত যা পড়ানো হবে সেটা তালিম৷
আমার উস্তাজে মুহতারাম শায়খুল হাদীস যাকারিয়া রহ. বলেন, তালিম হল যে কোনো কিতাবকে উস্তাজ শুরুতে এই পন্থায় পড়াবে যে, বাকি কিতাব সে নিজেই ওই পন্থায় পড়ে শেষ করতে পারে ৷
তরবিয়ত বলতে কী বুঝি? ছাত্রদেরকে নিজের মতের বিরুদ্ধে গেলেই বকাঝকা! আল্লাহ হেফাজত করুন ৷ তরবিয়ত বলতে ছাত্রের খেলাফে শরা আদত যেন ইবাদতে পরিবর্তন হয় উস্তাজের দিক নির্দেশনায় ৷
কওমি মাদরাসার নতুন শিক্ষাবর্ষ: কোথায় কখন ভর্তি
৩. মুতালাআ৷ মাদরাসায় মুতালাআর খোরাক দেয়ার জন্য বিজ্ঞ উস্তাজ আছেন কিনা খেয়াল করা৷ পর্যাপ্ত কিতাবের ব্যবস্থা আছে কিনা খেয়াল করা৷
উপরোক্ত তিনটি বিষয় যে প্রতিষ্ঠানে রয়েছে সে প্রতিষ্ঠানকে ছাত্ররা নিজের জন্য মুনাসিব করতে পারে৷ চাই সে প্রতিষ্ঠান মফস্বলে হোক বা গ্রামে হোক৷
আর যে প্রতিষ্ঠানে উপরোক্ত ব্যবস্থা থাকার পর ও ছাত্ররা প্রতিষ্ঠান পরিবর্তন করে তারা আল্লাহ তায়ালার নিয়ামতের বে কদরি করে ৷ আল্লাহ তায়ালা সকলকে নিয়ামতের কদর করার তাওফিক দান করুন৷
লেখক: সিনিয়র মুহাদ্দিস, জামিয়া মাহমুদিয়া ইসহাকিয়া মানিকনগর, ঢাকা।
-আরআর