আহমদ যাকারিয়া: পোস্ট-কলোনিয়াল যুগের মুসলমানরা একটি বিচিত্র সমাজে পরিণত হয়েছেন। এই সমাজে ঈমান এবং কুফর সবই পাওয়া যায়। সোজা কথায় বলতে গেলে ঈমান এবং কুফর প্রায় মিশ্রিত অবস্থায় আছে। এমনকি অধিকাংশ লোক এটাই জানে না যে, ঈমান ও কুফর জিনিসটাই বা কি।
এমন লোকও এখানে পাওয়া যায়, যিনি নামাজ পড়েন পাঁচ ওয়াক্ত আবার সমর্থন করেন সেকুলার পার্টি, আবার এমন লোকও আছেন যিনি নামাজ পড়েন না অথচ ইসলামকে মনে প্রাণে ভালোবাসেন, আবার এমন মানুষও আছেন এই সমাজে যিনি নামাজ রোজা থেকে শুরু করে যাবতীয় ইবাদত বন্দেগীতে অত্যন্ত নিষ্ঠাবান কিন্তু উম্মাহর ভালো-মন্দ নিয়ে একেবারেই ভাবতে চান না।
আবার একটা বড় অংশই এমন যে, এরা ইসলামের কিছুই দেখতে পারে না, ইসলামের কোনো সিম্বলই সহ্য করতে পারে না। এরা হচ্ছে সেই সো-কলড আধুনিক। তারপরও আমি বলবো এটা উম্মাহর দোষ না। বরং এটা হচ্ছে সেই পারিপার্শ্বিকতারই প্রভাব, যেখানে এর থেকে ভালো কিছু আশা করা যায় না।
তবে আশার কথা হচ্ছে যে, উম্মাহর ভেতর কল্যাণ সবসময় ছিল এবং থাকবে। সেই কল্যাণটা উসকে দিয়ে বের করে আনাটাই একজন দা'য়ীর আসল কাজ। কারণ তিনি হচ্ছেন সেই চিকিৎসকের মতো, যিনি রোগীর চিকিৎসা করেন। দুর-দূর করে বিদায় করে দেন না।
তাই এটা মনে করাটা একেবারেই ভুল যে, এই উম্মাহ এবং তার আপাতদৃশ্যমান সমস্যা আক্রান্ত অংশগুলোর মধ্যে কোন কল্যাণ নেই, এদের ফতোয়ার খোঁচায় বাতিল করে দিলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
আচ্ছা কে জানতো যে, উমার ইবনুল খাত্তাব রা. যিনি উন্মুক্ত তরবারি হাতে রাসুল সা.-কে হত্যা করার উদ্দেশ্য নিয়ে বের হয়েছিলেন সেই তিনিই পরবর্তীতে হয়ে যাবেন আল-ফারুক (সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী?) আবু হুরাইরা রা. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, ‘যদি কোনো ব্যক্তি বলে যে, মানুষ ধ্বংস হয়ে গেছে, তবে সেই (ব্যক্তিই) মানুষকে ধ্বংস করে দিল (আরেক ভাষ্য অনুযায়ী- ‘সেই ব্যক্তিই মানুষের মধ্যে সবচেয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত')
[ছহিহ মুসলিম]
সুতরাং উম্মাহর ওপর আশা ছেড়ে দেয়াটা কোনো ইসলামি পন্থা নয়। মুক্তির সূর্য আবার উদ্ভাসিত হবে।ইনশাআল্লাহ!!
ওমরাহ পালনকারীদের জন্য সৌদি যেতে পারবে কাতার এয়ারলাইন্স
-আরআর