আওয়ার ইসলাম : মিয়ানমান সেনাবাহিনীর নিপিড়নের মুখে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা সাত লাখ রোহিঙ্গা যদি স্বেচ্ছায় ফিরে যেতে চায়, তাহলে তাদের সবাইকে ফিরিয়ে নিতে প্রস্তুত মিয়ানমার। শনিবার দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা থং তুন এ মন্তব্য করেছেন। খবর রয়টার্স।
খবরে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবেনিরাপত্তা উপদেষ্টা থাউং টন বলেন, স্বেচ্ছায় যদি সাত লাখ রোহিঙ্গা ফিরে আসতে চায় তাহলে আমরা তাদের গ্রহণে আগ্রহী।
তিনি বলেন, মিয়ানমারে কোনো যুদ্ধাবস্থা চলছে না, ফলে সেটা যুদ্ধাপরাধ নয়। মানবতাবিরোধী অপরাধ বিবেচিত হতে পারে, তবে সে জন্য সুস্পষ্ট প্রমাণ থাকতে হবে এবং এ বিষয়টিকে হালকাভাবে আলোচনা করা উচিৎ নয়।
তিনি আরও বলেন, রাখাইনের যে আখ্যান প্রকাশিত হচ্ছে তা ‘অসম্পূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর’। তবে সেখানে যে মানবিক সংকটের সৃষ্টি হয়েছে মিয়ানমার সেটাকে অস্বীকার করছে না। রাখাইনের ভুক্তভোগী মুসলিম জনগোষ্ঠীকে অস্বীকার করা হচ্ছে না। তবে সেখানে বৌদ্ধ ধর্মালম্বী রাখাইন, হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুরাও নিপীড়িত হচ্ছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
আরও পড়ুন : রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন: জাতিসংঘের সঙ্গে চুক্তি করবে মিয়ানমার