আওয়ার ইসলাম: রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নির্মিত মসজিদ মক্তব সংরক্ষণের বিষয়ে কমিশনারের সাথে হেফাজত নেতৃবৃন্দের আলোচনা হয়েছে।
মায়ানমারের সামরিকজান্তা ও বৌদ্ধ সন্ত্রাসীদের হাতে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা এদেশে আশ্রয় নিয়েছে তাদের জান, মাল, ঈমান, ইজ্জত রক্ষার জন্য।
তাদের শিক্ষা, ধর্মীয় নিরাপত্তা, মানবিক সাহায্য করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দেশের আলেমসমাজ তাদের ঈমান আকিদার হেফাজতের লক্ষে নিজেরা অর্থ ও পরিশ্রমের মাধ্যমে মসজিদ, কুরআন শিক্ষার জন্য মক্তব ও ফোরকানিয়া মাদরাসা কায়েম করেছে বলে বিবৃতি প্রকাশ করেছে হেফাজতে ইসলাম।
কমিশনোরের সঙ্গে সাক্ষাতের পর হেফাজতে ইসলাম বিবৃতিতে আরো বলেন, মসজিদ মাদরাসা এগুলো রক্ষা করা সরকারের দায়িত্ব। অথচ অত্যন্ত দুঃখজনক হলো, আলেম উলামা ও সাধারণ মুসলিম জনতার অর্থে রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত কয়েকটি মসজিদ ও মাদরাসা সরকারী কর্মকর্তারা ভেঙ্গে ফেলেছে এবং কয়েকটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে।
এবং আলেম ওলামাদের নানা ভাবে হুমকী, ভয় ভীতি ও হয়রানী করা হচ্ছে। যা অত্যন্ত দু:খজনক ও মর্মান্তিক।
এ বিষয়ে আলোচনা করার জন্য গতকাল ২৯ মে বুধবার হেফাজতের পক্ষ থেকে আমরা সাক্ষাত করেছি কক্সবাজারস্থ রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনারের সাথে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদীর সাথে ছিলেন, ঢাকা মহানগর হেফাজতের যুগ্মসম্পাদক মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী ও কক্সবাজার জেলা সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াসিন হাবিব।
খোঁজ নিয়ে জানতে পারি, কিছু ইসলামবিদ্বেষী বিদেশি মিশনারি এনজিওদের প্ররোচনায় ক্যাম্প ইনচার্জ ম্যাজিস্টেট্রের নির্দেশে বিভিন্ন ক্যাম্পে কয়েটি মসজিদ ও মক্তব ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ধর্মীয় শিক্ষা নিয়ে খৃষ্টান মিশনারী এন জি ও এবং তাদের দোসর এদেশীয় ইলেক্ট্রনিক্স চ্যানেল ৭১ সহ কতিপয় মিড়িয়া একের পর এক চক্রান্তের জাল বুনছে।
ক্যাম্পে গড়ে উঠা মকতব, মাদরাসা ও কুরআন শিক্ষা কার্যক্রম দেখে এক ধরনের প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে উঠেছে এ সব মিড়িয়া।
কুরআন পড়ুয়া কচিকাচা শিশু কিশোরদের মাঝে জঙ্গী খোঁজার নাঠক সাজাচ্ছে। এন জি ও পরিচালিত স্কুল সমুহে রোহিঙ্গা শিশু কিশোরদের মগজ ধুলাই করে ইসলামবিদ্বেষী শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সম্মানিত আমীর আল্লামা শাহ আহমদ শফী দা. বা. এর নির্দেশে তৌহিদী জনতার উদ্যোগে নির্মিত মসজিদ মকতব মাদরাসা সমুহে ব্যাপক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান থাকায় এন জি ও পরিচালিত স্কুল সমুহ হালে পানি পাচ্ছেনা।
তাই ইসলামী শিক্ষা বাধাগ্রস্থ করার চক্রান্ত করছে তারা। হেফাজতে ইসলাম রোহিঙ্গা শিশু কিশোরদের মাঝে ধর্মীয় ও নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে। যাতে করে রোহিঙ্গারা আদর্শ জাতি হিসেবে গড়ে উঠতে পারে।
হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক পরিচালিত দ্বীনি শিক্ষার মাধ্যমেই রোহিঙ্গাদের মাঝে উগ্রবাদ, জঙ্গীবাদ নির্মূল হবে।
এদেশের জননিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। আমরা রোহিঙ্গা মুসলমানদের ঈমানের হেফাজত, তাদের ধর্মীয় শিক্ষা ও মানবাধিকার রক্ষায় সরকারকে এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছি।
আরো পড়ুন- রোহিঙ্গা শিবিরের ভেঙে ফেলা মসজিদ পুনঃনির্মাণে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম