রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের হরিয়ানা প্রদেশের নুহ জেলায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ আগুনে বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর দ্য ফার্স্ট পোস্ট -এর।
রোববার বিকাল সাড়ে ৩টা নাগাদ শরণার্থী শিবিরের রোজাদার মানুষজন যখন ইফতারি তৈরিতে ব্যস্ত তখন রোহিঙ্গাদের বসতিতে আগুন ধরে যায়।
দ্য ফার্স্ট পোস্ট জানায়, ওই শিবিরে ২১৫ জন বসবাস করতেন। প্রায় ৫০টি বাড়ি আগুনে পুড়ে গেছে। এক বাসিন্দা বলেন, ‘আমাদের সবকিছু হারিয়ে গেছে।’
জানা গেছে, বিকাল সাড়ে তিনটা নাগাদ আগুন ধরার পর প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টার পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। শর্টসার্কিটের ফলে ওই আগুন ধরে যাওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয়েছে। ।
নুহ থানার কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার বলেন, আগুনে কেউ মারা যায়নি বা আহত হয়নি। কিন্তু সব ঝুপড়ি আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত কেউ মামলা করার জন্য আসেনি।
রোববার সন্ধ্যায় ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের কাছাকাছি একটি জায়গায় অস্থায়ী শিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আশপাশের লোকজন তাদের থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
এখানকার আকবর নামে এক বাসিন্দা বলেন, আমরা একটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়ে ঘর থেকে বাইরে এসে দেখি ধোঁয়ায় ভরে গেছে। প্লাস্টিক ও রাবার পোড়ার গন্ধ আসছিল। এ সময় একটি গ্যাস সিলিন্ডার ফেটে গেলে আগুন চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে।
শরণার্থী শিবিরের বেশিরভাগ লোকজনের পরিচয়পত্র পুড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। যাদের পরিচয়পত্র নিজের পকেটে ছিল তাদেরই কেবল তা নষ্ট হতে পারেনি।
হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, ‘মৌলিক কিছু বিষয় সরবরাহ না করলে এমনটা হতেই থাকবে। জাতিসংঘের কাছে বারবার আমাদের করুণ অবস্থার কথা বলেছি। কিন্তু কোনও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’
এক মাস আগেই দিল্লিতে একটি রোহিঙ্গা শিবির ধ্বংস করা হয়। বাস্তুহারা হয়ে পড়ে ৫৫ রোহিঙ্গা পরিবার।
স্থানীয়দের অভিযোগ এই আগুন লাগা দুর্ঘটনা ছিল না। বরং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। তবে জাকাত ফাউন্ডেশনের জাফর মাহমুদ এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন।
অঅরও পড়ুন : রমজানে কেমন আছে রোহিঙ্গারা?