আবদুল্লাহ তামিম: শুক্রবার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৯তম জন্মজয়ন্তী। এ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার একক বক্তৃতা ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলা একাডেমি।
একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে ‘নজরুল : চিরবিদ্রোহী’ শীর্ষক একক বক্তৃতা প্রদান করেন অধ্যাপক মোরশেদ শফিউল হাসান।
অধ্যাপক মোহাম্মদ আবদুল কাইউমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন একাডেমির সচিব ও ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
মোরশেদ শফিউল হাসান বলেন, মানুষই ছিল নজরুলের মর্মকথা। তাঁর জীবন বিদ্রোহের আভায় স্নাত, বিচিত্র ও বর্ণাঢ্য।
কবিতায় তিনি নতুন স্বরের উদ্যোক্তা, গদ্যে মননের সাধক, সংগীতে ধ্রুপদী ও লোকধারার সার্থক সেতুবন্ধকারী, বেতার ও চলচ্চিত্রের জগতে স্বচ্ছন্দবিহারী।
ব্যক্তিত্বের অনমনীয় দৃঢ়তায় তিনি যেমন সাম্রাজ্যবাদ ও অসাম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন ঠিক তেমনি সমকালীন সমাজের হিন্দু ও মুসলিম সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে নিজের জীবন ও সাহিত্য দিয়ে বিদ্রোহ করেছেন।
মোহাম্মদ আবদুল কাইউম বলেন, নজরুলের জীবন এক বিদ্রোহ, এক বিস্ময়। ধরাবাঁধা জীবন ও সাহিত্যধারার বিপরীতে তিনি প্রাণের উদ্দাম আবেগে সামনে এগিয়ে চলেছেন, একই সঙ্গে আমাদেরও দিয়েছেন সামনে চলার দিশা।
সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে নজরুলগীতি পরিবেশন করেন শিল্পী লীনা তাপসী খান। যন্ত্রানুসঙ্গে ছিলেন পিনু সেন দাস (তবলা), গাজী আবদুল হাকিম (বাঁশি) এবং ডালিম কুমার বড়ুয়া।
আরো পড়ুন- একজন গণি মিয়ার জীবন চেরাগ