আওয়ার ইসলাম : ওআইসির সহকারী মহাসচিব নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি নতুন করে পর্যালোচনা করছে বাংলাদেশ। অবশ্য এ পর্যালোচনাকে সময়ের দাবি বলছেন অনেকে।
তাদের মতে, ভোটে হারার পর বিষয়টি সর্ব মহলে আরো বেশি অনুধাবিত হয়েছে। আর এ জন্যই ৫৭ মুসলিম রাষ্ট্রের ওই জোটের জেদ্দাস্থ হেড কোয়ার্টারে বাংলাদেশের একজন স্থায়ী পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিতে যাচ্ছে সরকার।
এতদিন ধরে রিয়াদস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমেই ওআইসি সদর দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতই অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ওআইসিতে বাংলাদেশের স্থায়ী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন।
সরকারের নীতি নির্ধারণী একটি সূত্র থেকে জানা গেছে, জাতিসংঘের আদলে ওআইসির সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে জেদ্দায় স্বতন্ত্র স্থায়ী পর্যবেক্ষক নিয়োগের এ চিন্তা।
এ বিষয়ে অনেকদিন ধরে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা-পর্যালোচনা চললেও সাম্প্রতিক নানা ঘটনায় সেই নিয়োগ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। দ্রুত এটি কার্যকর হতে যাচ্ছে।
তবে ওই পর্যবেক্ষকের পদমর্যাদা কি হবে, তাকে কি রাষ্ট্রদূতের মর্যাদা দিয়ে পাঠানো হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
সূত্র মতে, কোনো রকম ঘটনা-দুর্ঘটনা ছাড়া ওআইসির ৪৫তম পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের (সিএফএম) সফল আয়োজনে আত্মতুষ্টি থাকলেও নির্বাচনের হার ‘ঢাকাইয়া কূটনীতি’কে প্রশ্নের মুখে ঠেলে দিয়েছে।
দেড় যুগের মধ্যে ওআইসির সেক্রেটারিয়েটে দু’বার প্রার্থিতা এবং দুটোতেই শোচনীয় পরাজয় মুসলিম রাষ্ট্রের প্রধান ওই জোটে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে ভাবনার খোরাক জুগিয়েছে পেশাদারদের।
বিএনপির আমলে মহাসচিব পদে আর আওয়ামী লীগ আমলে সহকারী মহাসচিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পদে হারের ঘটনায় রাজনীতি, ভূ-রাজনীতি, কূটনীতি এবং কূটনীতিকদের পেশাদারিত্ব নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
অবশ্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতি বাস্তবায়নের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত সরকারের প্রতিনিধিরাও বিষয়টিকে হালকাভাবে নিচ্ছেন না।
মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকদের দীর্ঘ এক পর্যালোচনার বড় অংশজুড়ে ছিল ওআইসিতে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। ধারণা করা হচ্ছে দ্রুতই সরকার এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে।
আরও পড়ুন : ফিলিস্তিন ইস্যুতে ওআইসির জরুরি সভা শুক্রবার