হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: পৃথিবীতে মানুষের কতো জিনিসের প্রতি আগ্রহ থাকে। কতো জিনিস তৈরি করে মানুষ নিজেকে তুলে ধরে বিশ্ব দরবারে। কিন্তু পাকিস্তানি নারী যে মহান কীর্তি গড়লেন তা বিশ্ব ইতিহাসে আর নেই।
আল্লাহর ভয় আর রাসুল সা. এর প্রতি অকৃত্রিম ভালোসা রাখেন এমন মুসলমানের সংখ্যা মোটেও কম নয়। এমনই এক পূণ্যবতী নারীর বসবাস পাকিস্তানের গুজরাট প্রদেশের আহমদাবাদ এলাকায়। তার নাম নাসিমা আখতার।তার স্বামীর নাম গোলাম মোস্তফা। আহমদাবাদের গড়হি গ্রামে তাদের বসাবাস।
এ নারী দীর্ঘ ৩২ বছর ধরে সুঁই সুতোয় কাপড়ের ওপর কুরআন লেখার কাজ করছিলেন। চলতি বছরে তার কাজ শেষ হয়। প্রতিটি পারা আলাদা আলাদা করে সেলাই করা হয়েছে। নাসিমার ঘরে পাণ্ডুলিপি আকারে তা সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এ দীর্ঘ ৩২ বছরে এক মুহূর্তের জন্যও তিনি অজুবিহীন থাকেন নি।
নাসিমার লিখিত কুরআন মোট ১০ খণ্ডের। প্রতি খণ্ডে ৩ পারা। ডেইলি পাকিস্তানকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে নাসিমা জানিয়েছেন, ছোট বেলা থেকেই কুরআনের প্রতি তার অগাধ ভালোবাসা জন্মায়। তার তেলাওয়াতও ছিলো চমৎকার। তখন থেকেই তিনি মনে মনে ইচ্ছা করেন, তিনি কুরঅান নিয়ে এমন এক কাজ করবেন যা পৃথিবীতে স্থায়ী নিদর্শন হিসেবে বাকি থাকবে।
নাসিমা ১৯৮৭ সালে এ পবিত্র কাজ শুরু করেন। যা চলতি বছর ২০১৮ এ শেষ হয়। তিনি ৩০ বছর বয়সে কাজ শুরু করেন। এখন তার বয়স ৬২ বছর। তার লিখিত কুরআনে যবর, যের, নুকতা, রুকু, মনজিল কোনটাতেই এদিক সেদিক হয় নি। এবং সবই সুঁই সুতো দিয়ে লেখা হয়েছে। লেখার আগে তিনি পার্শ্ববর্তী মসজিদের ইমাম থেকে লেখাগুলো দেখিয়ে নিতেন।
তিনি বলেন, আমার আশা পবিত্র মদিনা মুনাওয়ার লাইব্রেরিতে তার এই অমর কীর্তি রাখা হোক। এবং পৃথিবীবাসী কুরআনের প্রতি আরো আগ্রহী হয়ে উঠুক।
দেখুন ভিডিও
https://www.facebook.com/DailyPakistan.OfficialPage/videos/1906516046082252/?t=1
সূত্র: ডেইলি পাকিস্তান