আবদুল্লাহ তামিম: নির্যাতনের মুখে দেশ থেকে পালিয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের অনেককে এবার অন্যরকম রমজান মাসের মুখোমুখি হতে হচ্ছে৷ তীব্র গরম তাদের জন্য নানারকম সমস্যা দেখা দিয়েছে। আর আগের চেয়ে সাহায্য খুবই কমে গেছে। ফলে এখন খাবার খুব কম পায় রোহিঙ্গারা।
গরমসহ অন্যান্য সমস্যা থাকা সত্ত্বেও রোহিঙ্গারা রোজা রাখছেন বলে জানান ইমাম মুহাম্মদ ইউসুফ৷ ‘সূর্যের প্রচণ্ড তাপ থাকায় কঠিন হবে, তবে তবুও আমরা রোজা রাখব,’ বলেন তিনি৷
সুখের কথা বলার পরপরই হাশিম বর্তমানে ফিরে আসে৷ এবারের রমজান সুখের হবে না তা বুঝতে পেরে কিছুটা দুঃখিত হয় সে৷
অবশ্য পরক্ষণে অন্যদের কথা ভেবে নিজেকে কিছুটা ভাগ্যবান ভাবতে শুরু করে৷ কারণ সে তো তাও পরিবারের সঙ্গে আছে, এমন অনেক শিশু আছে যাদের সঙ্গে পরিবারের কেউ নেই, একেবারে একা৷
শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের কাজের অনুমতি নেই৷ ফলে তাদের আয়ও নেই৷ তাই ইফতার আর সেহরিতে ভালোমন্দ খাওয়ার ইচ্ছা থাকলেও তা পূরণের উপায় নেই৷
ঈদের সময় কাউকে উপহার দেয়া কিংবা পাওয়া, কোনোটারই সম্ভাবনা নেই৷ ত্রাণ সংস্থার দেয়া খাবার আর জামাকাপড়ই তাদের একমাত্র সম্বল৷
আরেকটি সমস্যার কথা জানিয়েছে হাশিম৷ তীব্র গরম৷ ‘আমরা এখানে বার্মার মতো রোজা করতে পারব না, কারণ খুব গরম৷ এখানে কোনো গাছ নেই৷ ত্রিপলও গরম৷ দিনের বেলায় এটি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে৷ ফলে রোজা রাখা খুব কঠিন৷’
সূত্র: এএফপি, সৌদি গ্যাজেট, ডয়েচে ভেল
আরো পড়ুন- রমজানের শুরুতে যে আমল করতেন আল্লামা কাশ্মীরি রহ.
-আরআর