আবুল কাসেম আদিল
যাকাত যার ওপর ওয়াজিব হয়েছে, তার কর্তব্য হলো হকদারদের কাছে সসম্মানে পৌঁছে দেওয়া। নিজে ভারমুক্ত হওয়ার জন্য ভারহীনকে ডেকে এনে অপদস্থ করা কেন?
যাকাত জনসম্মুখে না দেওয়াই শ্রেয়। এতে ইবাদত নয়, প্রদর্শনেচ্ছা প্রকাশিত হয়। তাছাড়া এটা গরিবের আত্মসম্মানে আঘাতও বটে।
লাইন ধরে দাঁড় করিয়ে না দিয়ে এলাকার গরিবদের লিস্ট করে নেওয়া যেতে পারে। লিস্ট মোতাবেক বাড়ি বাড়ি যাকাত পৌঁছে দেওয়া যেতে পারে। এটা কষ্টসাধ্য মনে হলে অল্প মানুষকে বেশি করে টাকা দিন। দুইশ টাকা করে দু হাজার মানুষকে না দিয়ে দু হাজার টাকা করে দুইশ মানুষকে দিন।
ব্যক্তিভেদে পাঁচ-দশ হাজার টাকা করে দিতে পারেন। দুইশ টাকা দিয়ে দু হাজার মানুষ তেমন কিছুই করতে পারবে না। দু হাজার টাকা দিয়ে দুইশ মানুষ অনেক কিছুই করতে পারবে। প্রয়োজন বোধে পরের বছর অন্যদের দেবেন। অল্প মানুষের বাড়িতে যাওয়া খুব কঠিন কিছু নয়।
যাকাত হিসেবে শাড়ি-লুঙ্গি দেওয়ার প্রচলন একুশ শতকের সবচে নিকৃষ্ট কুসংস্কার। যাকাতের জন্য নগদ অর্থ দেওয়াই যুক্তিযুক্ত। টাকা দিয়ে প্রাপক শাড়ি-লুঙ্গিসহ যা ইচ্ছে তা-ই কিনতে পারবে।
শাড়ি-লুঙ্গি দিলে অন্য কিছুর প্রয়োজন হলে তার ব্যবস্থা করতে পারবে না। তাছাড়া তার এসবের প্রয়োজন না-ও তো থাকতে পারে। তার হয়ত প্রয়োজন অন্য কিছুর, টাকা দিয়ে সেটা সে কিনে নিতে পারবে।
রাজধানীতে ‘ফিকহ অব যাকাত’ ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত
-আরআর