শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


‘বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নয়, রাষ্ট্র ও জনগণের’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : শনিবার ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা থেকে উৎক্ষিপ্ত বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’কে কেন্দ্র ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছে। নানা আশা-প্রত্যাশার পাশাপাশি এ উদ্যোগটির বিভিন্ন দিক নিয়ে সমালোচনা করতেও ছাড়ছেন না বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা।

গতকাল সোমবার ঢাকার ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়ার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে  টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সব প্রশ্নের উত্তর দেয়ার চেষ্টা করেন।

মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইটের মালিকানার সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সম্পর্ক নেই। আর এ বাণিজ্যিক পরিচালনার সব কাজও উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে হবে।

বিটিআরসির নেওয়া তিন হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্পের আওতায় ফরাসি প্রতিষ্ঠান তালেস এলিনিয়া এই স্যাটেলাইটটি তৈরি করে, এর উৎক্ষেপণ হয় যুক্তরাষ্ট্রের বেসরকারি মহাকাশ গবেষণা সংস্থা স্পেসএক্সের মাধ্যমে।

এই স্যাটেলাইটের মালিকানা ‘দুই ব্যক্তির কাছে চলে গেছে’ বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর; তবে তাদের পরিচয় তিনি প্রকাশ করেননি।

এই প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ ও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। এর বাণিজ্যিক পরিচালনাও নির্দিষ্ট কারও হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে বলে কথা উঠছে।

মালিকানার প্রশ্নে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, “এটি স্পষ্ট করে বলা দরকার, এই স্যাটেলাইটের মালিক বাংলাদেশের জনগণ। এই স্যাটেলাইটের মালিক রাষ্ট্র, রাষ্ট্রের পক্ষে সরকার এটি পরিচালনা করবে।

“এখানে অন্য কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে এর মালিকানা থাকার, কোনো সম্পর্ক থাকার কারণ নেই। অনুগ্রহ করে ভুল বুঝবেন না।”

স্যাটেলাইট টিভি সার্ভিসের লাইসেন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কেউ একটা লাইসেন্স কোনো কাজ করার জন্য পেয়ে যায়, তার সঙ্গে স্যাটেলাইটের সম্পর্ক নেই। স্যাটেলাইট বহু ধরনের সেবা দেবে।”

আগামী তিন মাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের বাণিজ্যিক কাজ শুরুর আশা প্রকাশ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমাদের কক্ষপথে তার অবস্থান নিশ্চিত করার পর বাণিজ্যিকভাবে পরিচালিত হবে। কক্ষপথে স্থাপন করার জন্য নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা কাজ করছে।

“উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে বাজারজাত করার দায়িত্ব দেওয়া হবে। সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, লাইসেন্স দেওয়ার জন্য সব কাজ বিটিআরসি এবং মন্ত্রণালয় করবে, কোনো গোপনীয়তা থাকবে না।”

খুলনায় ভোটগ্রহণ শুরু
গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫৮, আহত ২৭০০


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ