আওয়ার ইসলাম: প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষণা দেয়ার পরেও কেন আন্দোলন হচ্ছে? এ’ প্রশ্ন তুলে আন্দোলনকারীদের হুমকি দেয়া হচ্ছে এবং তাদের সম্পর্কে কুৎসা রটনা করা হচ্ছে। আমি মনে করি এই প্রশ্ন তোলাটাই বরং উদ্দেশ্যমূলক এবং অন্যায়। আমার এই মন্তব্যের কারণ ব্যাখ্যা করছি নীচে।
কথাগুলো নিজের ফেসবুক পেজ-এ লিখেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আসিফ নজরুল। এর ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি আরো লিখেছেন-
১. প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য কোন আইন নয়। তিনি একশবার কোন কথা বললেও তার কোন কার্যকারিতা থাকবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত এর পক্ষে কোন লিখিত আইন, বিধি, আদেশ, সিদ্ধান্ত বা প্রজ্ঞাপন জারি করা না হবে। তিনি সত্যিই কোটা বাতিল বা সংস্কার করতে চাইলে প্রজ্ঞাপন জারি করতে বা কমপক্ষে এর লক্ষে কোন দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে এতো দেরি কেন?
২. প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ঘোষনা দেয়ার পরেও বিভিন্ন মন্ত্রী এবং কালকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ভিন্ন কথা বলেছেন। তাদের কথায় কোটা নিয়ে আসলে কি হবে বা কবে হবে তা নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিল করে দিলে তারা ভিন্ন কথা বলেন কিভাবে? তারা কি প্রধানমন্ত্রীর অবাধ্য? নিশ্চয়ই না। তাহলে তাদের কথার পর প্রধানমন্ত্রীর আশ্বাসের মূল্য কতোটুকু থাকে?
৩. কোটা সংস্কার আন্দোলনকে শিবিরিকরনের নতুন উদ্যোগ দেখে এ’নিয়ে সরকারের নিয়ত সম্পর্কে উদ্বেগ সৃষ্টি করতে পারে। কোটা বাতিল ঘোষনা করার পর ছাত্রলীগের বিজয় মিছিল করেছে। তাহলে নতুন করে এই প্রচারণার কি ভিত্তি থাকতে পারে?
৪. ছাত্রশিবিরের কেউ কেউ কোটা সংস্কার আন্দোলনে হয়তো থাকতে পারে। কিন্তু এ’নিয়ে ঢালাও গালাগালি তো কোন সমাধান না! তাদের অংশ নেয়া বন্ধ করতে চাইলে জামাত-শিবিরকেে নিষিদ্ধ করুন এবং এই মর্মে একটি আইন করুন যে জামাত শিবিরের কেউ ন্যায়সংগত কোন আন্দোলনেও অংশ নিতে পারবে না এবং তাদের কোন বাকস্বাধীনতা থাকবে না।
এ’ধরনের কোন পদক্ষেপ না নিয়ে অযথা চেঁচামেচি করে তো কোন লাভ নেই।
মানুষ এখন অনেক সচেতন। যুক্তি দিয়ে নিজের অবস্থানকে বিজয়ী করুন। গালাগালি, হুমকি, মিথ্যেচার দিয়ে নয়।
এইচজে