আওয়ার ইসলাম: কারিগরি সমস্যার কারণে দেশের প্রথম স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্ধু-১’ এর উৎক্ষেপণ স্থগিত করা হলেও আজ (শুক্রবার) ফ্লোরিডার স্থানীয় সময় ৪টা ২০ মিনিটে আবারও উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে কেনেডির স্পেস সেন্টার।
সব কিছু ঠিক থাকলে নির্দিষ্ট সময়েই ‘বঙ্গবন্ধু-১’ স্যাটেলাইট বহনকারী রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে।
বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইটটি মহাকাশে ১১৯.১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশের কক্ষপথে প্রদক্ষিণ করবে। ২০১৫ সালের ১৫ জানুয়ারি রাশিয়ান ইন্টারস্পুটনিকের আওতাধীন কক্ষপথটি (অরবিটাল স্লট) ভাড়া নেয়ার বিষয়ে রাশিয়ার সাথে চুক্তি করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
১৫ বছরের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে এ অরবিটাল স্লট ভাড়া নেয়ার পর ওই বছরই ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উৎক্ষেপণে মূল পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক স্পেস পার্টনারশিপ ইন্টারন্যাশনাল (এসপিআই) কাজ শুরু করে।
ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নে (আইটিইউ) অরবিটাল পজিশন ৬৯ ও ১০২ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে পাওয়ার জন্য ২০০৭ সালে আবেদন করেছিল বাংলাদেশ। তবে যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, পাকিস্তান, ইসরায়েল, জাপান, সাইপ্রাস, আর্মেনিয়া ও উজবেকিস্তান তাতে আপত্তি জানায়। প্রক্রিয়াগত কারণে এ ধরনের আপত্তি অস্বাভাবিক না হওয়ায় ইন্টারস্পুটনিকের সঙ্গে সমঝোতায় আসে বাংলাদেশ।
থ্যালেস অ্যালেনিয়া স্পেস বলছে, স্যাটেলাইট ‘বঙ্গবন্দু-১’ থেকে রাজস্ব আয় করে অর্থনীতিকে শক্তিশালী করবে বাংলাদেশ। বর্তমানে ব্রডকাস্টিং সেবা পেতে বিদেশি উপগ্রহ থেকে ট্রান্সপন্ডার ভাড়া নিতে হয়। বঙ্গবন্ধু-১ চালু হলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার পরিষেবার দেশের কর্তৃত্ব অর্জন করবে। একই সঙ্গে নেপাল, মিয়ানমার বা ভুটানের মতো বিভিন্ন বিদেশি দেশগুলোতে সরবরাহের সুবিধা প্রদান করতে পারবে।
মহাকাশ গবেষক মো. আব্দুল বাকী চৌধুরী নবাব জানান, প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার নিজস্ব স্যাটেলাইট রয়েছে। মিয়ানমার সম্প্রতি বাণিজ্যিক স্যাটেলাইট নিয়ে কাজ শুরু করেছে। নেপাল ও ভুটানও কাজ করছে ন্যানো স্যাটেলাইট নিয়ে।
আরো পড়ুন- মাহে রমজানের প্রস্তুতি এখন থেকেই নিতে হবে: আল্লামা আহমদ শফি