শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
কাল যাত্রাবাড়ী মাদরাসায় মজলিসে দাওয়াতুল হকের ইজতেমা শেখ হাসিনা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে চক্রান্ত করছেন: মজলিস মহাসচিব ডেঙ্গুতে এক সপ্তাহে ৩১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত ৬২৩০ মসজিদে নববীর আদলে হবে আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ: ধর্ম উপদেষ্টা খাগড়াছড়ি প্রেস ক্লাবের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত নতুন নির্বাচন কমিশনকে বিগত কমিশন থেকে শিক্ষা নিতে হবে: মুফতী ফয়জুল করীম লালপুরে যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখল ও বাড়ি ভাংচুরের অভিযোগ জনতার চেয়ারম্যান সৈয়দ তালহাকে সুনামগঞ্জ ৩ আসনে জমিয়তের প্রার্থী ঘোষণা কুরআন-হাদিসের ভিত্তিতেই হতে হবে সংস্কার: বায়তুল মোকাররমের খতিব ইসলামী সঙ্গীত সম্রাট আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর বাবার ইন্তেকাল

সোশ্যাল মিডিয়া বাচ্চাদের ‘মানসিক সমস্যা তৈরি করছে’

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: শিশু ও কিশোর-কিশোরীরা মোবাইল ফোন ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব বেশি সময় কাটাচ্ছে। ফলে তাদের নিয়ে উদ্বেগের কথা চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞেরা আলোচনায় আনছেন।

এ প্রযুক্তি আশক্তি বিশ্বের জন্য একটি বড় চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে এটি সবাইকে ভাবিয়ে তুলছে। আর এই সমস্যা সমাধানে চিন্তা-ভাবনা শুরু করে দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি। প্রতিবেদনটিতে রঙ্গন চ্যাটার্জী নামের একজন চিকিৎসক বলেছেন, কিশোর-কিশোরীদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার এবং তাদের মানসিক সমস্যার মধ্যে একটা সম্পর্ক আছে। এটি এখন ধারণা নয়, প্রমাণিত সত্য।

তার কাছে এর প্রমাণও রয়েছে।সমস্যাটি এতোটাই জটিল আকার ধারণ করেছে যে, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একদল শিশু কল্যাণ বিশেষজ্ঞ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতার কাছে একটি চিঠি পাঠান। তাতে ‘মেসেঞ্জার কিডস’ অ্যাপটি বন্ধ করে দেবার জন্য মার্ক জাকারবার্গের কাছে আহ্বান জানান তারা।

বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, তাদের কাছে তথ্যপ্রমাণ রয়েছে যে, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের কারণে বাচ্চাদের অস্বাভাবিক সব মানসিকতা পরিবর্তন হচ্ছে।

এমনকি, ১০ বছরের মেয়েরা পর্যন্ত দৈহিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে হীনমন্যতায় ভুগছে। সোশ্যাল মিডিয়া যেহেতু বাচ্চাদের মানসিক সমস্যা তৈরি করছে, তাই ১৩ বছরের কম বয়সীদের এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারে উৎসাহিত করাটা ঠিক হচ্ছে না। একি এক ধরণের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা।

ডা. রঙ্গন চ্যাটার্জী বলছেন, ১৬ বছরের এক কিশোর হাত-পা কাটার পর তাকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়েছিল। তিনি তার চিকিৎসা করেছেন।

তিনি বলেন, তার এ সমস্যার কারণে প্রথমে বিষণ্ণতা রোধের ওষুধ দেবো ভেবেছিলাম। কিন্তু তার সাথে বিস্তারিত কথা বলার পর মনে হয়েছে, তার সমস্যার মূলে বিষণ্ণতা নয়, সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারের স্বাস্থ্যগত নেতিবাচক প্রভাব।

২০১৭ সালে ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সী দেড় হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর একটি জরিপ চালায় রয়াল সোসাইটি অব পাবলিক হেলথ। তার ফলাফলে বলা হয়, ওই সব কিশোর-কিশোরীদের মনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলেছে স্ন্যাপচ্যাট এবং ইনস্টাগ্রাম। এসব তাদের ভেতরে হীনমন্যতা এবং দুশ্চিন্তা তৈরি করেছে।

আরো পড়ুন- পূজার ছুটি চেয়ে হিন্দু শিক্ষক পেলেন হজে যাওয়ার ছুটি


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ