মুজাহিদুল ইসলাম: মরক্কোর পররাষ্টমন্ত্রী নাসির বুরিতাহ বলেন, পশ্চিম সাহারায় স্বাধীনতার দাবিতে লড়াইকারী পলুসারি ফ্রন্টের সাথে লেবাননের হিজবুল্লাহের সম্পর্কের কারণে রাবাত ইরানের সাথে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মন্ত্রী আরো বলেন,পলুসারি ফ্রন্টকে অর্থনৈতিক,লজিস্টিক ও সামরিক সহযোগিতা দেয়ার তথ্য পাওয়ার পর রাবাত ইরানি রাষ্টদূতকে মরক্কো ত্যাগ করতে বলেছে।
তিনি আল জাজিরাকে বলেন, জাতীয় নিরাপত্তাহুমকি ও নাগরিকদের হুমকি প্রদানের কারণে সম্পর্ক ছিন্নের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ সংশ্লিষ্টি তথ্যাদি প্রমান করে, হিযবুল্লাহ আলজেরিয়ায় ইরানি দূতাবাসের সাথে সমন্বয় করে পলুসারি ফ্রন্টকে অস্ত্র দেয়ার পাশাপাশি সামরিক শাখা গঠন করে যুদ্ধফ্রন্টে কয়েকজনকে প্রশিক্ষণও প্রদান করেছে।
পররাষ্টমন্ত্রী বলেন, মঙ্গলবার ইরানের রাজধানী তেহরানে ইরানি প্রররাষ্টমন্ত্রী জাওয়াদ জারীফের নিকট এসকল তথ্য দেয়া হয়েছে। কিন্তু এ প্রমাণ সম্পর্কে তিনি কিছু বলেননি। মন্ত্রী বলেন,সামরিক সহযোগিতা দেয়ার কারণে কড়া জবাব দেয়া হবে।
ইতোমধ্যে মরক্কো ইরানে তাদের রাষ্টদূতকে ডেকে পাঠানোর এবং সেখানে মরক্কোর দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ইরান দেশের ভেতরে শীয়া মতবাদ প্রচার করছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষাপটে সাত বছর সম্পর্ক ছিন্ন থাকার পর ২০১৬ সালে ইরান ও মরক্কোর মাঝে সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়।
উল্লেখ্য,১৯৭৫ সালে মরক্কো এবং এ অঞ্চলে স্পেনের দখলদারিত্ত্বের অবসানের পর সাহারা নিয়ে বিবাদ দেখা দেয়,যা একপর্যায়ে মরক্কো ও পলুসারিদের মাঝে সশস্ত্র সংঘাতে রুপান্তরিত হয়। অবশ্য ১৯৯১ সালে উভয়ের মাঝে যুদ্ধবিরতি হয়।
রাবাত সবসময় সাহারার ওপর তার দাবির কথা জানিয়ে আসছে এবং তার সার্বভৌমত্বের অধীনে ব্যাপক স্বায়ত্বশাসন দিয়ে সমাধানের প্রস্তাব দিয়ে আসছে। কিন্তু পলুসারিরা সিদ্ধান্তের জন্য গণভোটের দাবি করে আসছে। আর এ দাবিকে আলজারিয়া সমর্থন করে আসছে,যেখানে পলুসারিরা রয়েছে।
আলজাজিরা থেকে মুজাহিদুল ইসলামের অনুবাদ
-আরআর