হামিম আরিফ: কাকরাইল মারকাজের চলমান উত্তেজনা নিরসনে শুরা সদস্য এবং প্রশাসানের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
আজ শনিবার দুপুরে তাবলিগ জামাতের কেন্দ্রীয় মারকাজ কাকরাইলে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে শুরার ৮ জন সদস্য এবং ডিবি’র প্রধান আবদুল বাতেন, রমনা থানার ডিসি মারুফসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন বলে আওয়ার ইসলামকে জানান বৈঠকের সমন্বয়ক মাওলানা মাজহারুল ইসলাম।
কাওরান বাজার আম্বরশাহ মসজিদের খতিব মাওলানা মাজহার আরও জানান, বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ দুটি সিদ্ধান্ত হয়েছে। কাকরাইলের বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
বাংলাদেশ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল দেশের বাইরে থাকায় আপাতত দুটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তিনি আসার পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান মাওলানা মাজহারুল ইসলাম।
সিদ্ধান্ত দুটি হলো, ১. মাওলানা জুবায়ের আহমদ ও সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম চলতি মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত মারকাজ মসজিদের বাইরে অবস্থান করবেন।
জানা যায়, মাওলানা জুবায়ের আহমদ শারীরীকভাবে কিছুটা অসুস্থতায়ও ভুগছেন।
২. দুইগ্রুপের চারজনকে সাময়িকভাবে মারকাজ মসজিদে যাতায়াতও নিশেধ করা হয়েছে। তারা হলেন, (নেজামুদ্দীন অনুসারী) মাওলানা আবদুল্লাহ, ড. এরতেজা হাসান। (আলমি শুরার) ইঞ্জিয়ার মাহফুজ হান্নান ও আজগর আলী।
বৈঠকে শুরা সদ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাওলানা জুবায়ের আহমদ, মাওলানা রবিউল হক, মাওলানা ওমর ফারুক, শেখ শিহাবুদ্দিন নাসিম, সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম, মাওলানা ফারুক প্রমুখ।
তাবলিগের মারকাজ মসজিদে বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তেজনা বিরাজ করছে। গতকাল শুক্রবার সেটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালে হাতাহাতিও হয়। পরিবেশ শান্ত করার জন্য বাড়তি পুলিশ নিয়োজিত ছিল।
এদিকে আজ সকালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে মসজিদে ছাত্রদের বের করে দেয় পুলিশ। তবে এর কিছুক্ষণ প্রশাসনের সিদ্ধান্ত এলে আবার তাদের প্রবেশ করানো হয়।
আরও পড়ুন: কাকরাইল মারকাজের অবস্থা থমথমে; পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দুই পক্ষের
-আরআর