আম্মার সাদিক : দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের এক বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথি হিসেবে আজ এফডিসিতে যাচ্ছেন অনন্ত জলিল। গতকাল অনুষ্ঠানের ২০ এপ্রিল অনুষ্ঠানের দাওয়াত পাওয়ার পর চিঠিসহ একটি পোস্ট করেন তার ফেসবুক পেইজে।
পোস্টে তিনি বলেন, অনেকদিন এফডিসিতে আমার যাওয়া হয় না, তবে এবার যাচ্ছি। বন্ধুগন, আমার এফডিসিতে যাত্রার কথা শুনে আশাকরি সংকিত হবেন না। আগামীকাল ২১ এপ্রিল দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে জাতীয় বিতর্ক প্রতিযোগিতা দেখতেই আমি আবারো এফডিসিতে যাবো।
তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানে আমাকে প্রধান অতিথি করায় ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি'র সংশ্লিষ্ট সকলকে আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। কারণ সমাজের অবহেলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে আমি দাঁড়াতে চাই, তাদের সহযোগিতার পাশাপাশি উৎসাহ দিতে চাই।
`তবে আমার মতো গুটি কয়েকজন তাদের পাশে দাঁড়ালে হবে না, সামর্থ্যবান সকলকেই অসহায়, সুবিধাবঞ্চিত মানুষসহ সকল দৃষ্টিবন্ধী মানুষ ও শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ালে ও সহযোগিতা করলে তারা যেমন এগিয়ে যাবে, পাশাপাশি আমাদের সোনার বাংলাদেশটিও এগিয়ে যাবে।'
তিনি জানান, কাল ২১ এপ্রিল, ২০১৮ শনিবার বিকেল ৩টায় আমি আসছি এফডিসিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিতর্ক প্রতিযোগিতা দেখতে এবং তাদেরকে উৎসাহ দিতে। আশাকরি আমার সাথে আপনারাও উপস্থিত হবেন।
নানাভাবে আলোচনা-সমালোচনায় উঠে আসার পর অনন্ত জলিল বাংলা চলচিত্রের একজন অপ্রতিদ্বন্দ্বী সুপারস্টার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। কিন্তু শোবিজ জগত তাকে আনন্দ ও তৃপ্তি দিতে পারেনি বলে আশ্রয় নেন ইসলামি জীবনবোধের শান্তিময় ছায়ায়। সেই থেকে ভালো চলছে অনন্ত-বর্ষা জুটির নতুন জীবন। শান্তি ও স্বাচ্ছন্দ্যময় জীবন।
অনন্ত জলিল চলচিত্র ছেড়ে দিলেও তার চলচিত্র খ্যাতি বেড়েছে বৈ কমেনি সামান্যও। তিনি এখনো তার সব ভক্তের কাছে সমান সম্মানের। তার ভক্তরাও তার কাছে অনেককিছু শিখছেন, জানছেন, বোঝার চেষ্টা করছেন।
অনন্ত জলিলের যাত্রা অনন্তের পথে । মানবতার পথে। শান্তির পথে। সফলতার পথে।
আরো পড়ুন : রাজিবের দুই ভাইয়ের দায়িত্ব নিলেন অনন্ত জলিল, ওমরাহ পালনে সাকিব-অনন্ত ও শাহরিয়ার নাফিস, কেন নির্বাচন করতে চান না অনন্ত জলিল?