আওয়ার ইসলাম : সংঘাতময় পরিস্থিতিতে যৌন সহিংসতা প্রতিরোধে সংশ্লিষ্ট দেশ এগিয়ে না এলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কেই দায়িত্ব নিতে হবে। বিশেষ করে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকার রাখতে হবে।
সোমবার (১৬ এপ্রিল) নিরাপত্তা পরিষদে ‘নারীর ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা ও ন্যায়বিচার পাওয়ার মাধ্যমে সংঘাতময় পরিস্থিতিতে যৌন সহিংসতা প্রতিরোধ’ বিষয়ক এক উন্মুক্ত বিতর্কে অংশ নিয়ে এ কথা বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি তারেক মো. আরিফুল ইসলাম।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশর স্থায়ী দূতাবাস থেকে সোমবার (১৬ এপ্রিল) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অনুষ্ঠানটিতে নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি সদস্য দেশসহ প্রায় ৭০টি দেশের প্রতিনিধি বক্তব্য রাখেন। নিরাপত্তা পরিষদের চলতি এপ্রিল মাসের সভাপতি পেরু এই উন্মুক্ত বিতর্কের আয়োজন করে।
বিতর্কে বক্তব্য রাখেন, ‘নারী, শান্তি ও নিরাপত্তা’ বিষয়ক এনজিও ওয়ার্কিং গ্রুপের পক্ষে রোহিঙ্গা প্রতিনিধি রাজিয়া সুলতানা। সুলতানা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নারী ও মেয়েদের চ্যালেঞ্জ এবং সুরক্ষার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তার বক্তব্যে তুলে ধরেন। তিনি রোহিঙ্গাদের মাতৃভূমি ও তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার ব্যাপারে আন্তর্জাতিক শক্তির কাছে দাবি পেশ করেন।
‘আমরা ২০১৭ সালের অক্টোবর মাসে ‘নারী শান্তি ও নিরাপত্তা’ বিষয়ক উন্মুক্ত বিতর্কে অংশে নিয়ে এই পরিষদে রোহিঙ্গা নারী ও মেয়েদের কথা বলার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি তুলে ধরেছিলাম। আজ সুলতানা রোহিঙ্গাদের পক্ষে বক্তব্য দিলেন। এই কথা বলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আমি জাতিসংঘ মহাসচিবের বিশেষ প্রতিনিধি প্রমিলা প্যাটেনকে ধন্যবাদ জানাই।’
অনুষ্ঠানটিতে রাজিয়া সুলতানাকে বক্তব্য প্রদানের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি এসব কথা বলেন।
এসএস
আরো পড়ুন : রগ কাটা মুর্শেদাসহ ২৪ জনকে বহিস্কার করল ছত্রলীগ