আওয়ার ইসলাম: কক্সবাজারের কুতুপালং এর মধুরছড়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পে ‘শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক রহ. মসজিদ’ ভেঙ্গে ফেলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে নেতাকর্মীরা মসজিদটি দ্রুত পুননির্মাণের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ সোমবার রাজধানী মুহাম্মদপুরে বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে এ আল্টিমেটাম দেয়া হয়।
বিক্ষোভ পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, এ দেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জান মাল হেফাজত করা যেমন আমাদের দায়িত্ব ঠিক একইভাবে তাদের ঈমান আকিদার হেফাজতের দায়িত্বও বাংলাদেশের সরকার ও ষোল কোটি মুসলিম জনতার।
তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য প্রাপ্ত বিদেশি অনুদান দিয়ে রোহিঙ্গাদের থাকা খাওয়ার প্রয়োজন পূরণ করলেও তাদের ঈমান আকিদা রক্ষায় কোনো গুরুত্ব নেই।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, কিছু দুষ্ট এনজিওর প্ররোচনায় কুতুপালং এর সর্ববৃহৎ মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
সমাবেশে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা আতাউল্লাহ আমীন বলেন, মসজিদ ভাঙার সাহস এনজিওরা কোথায় থেকে পেয়েছে আমরা জানতে চাই। কোনো আলোচনা ছাড়া মসজিদ ভাঙ্গার ফলাফল খুব বেশি ভালো হবে না। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিস ঢাকা মহানগরীর সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা আবুল হাসানাত জালালী, সহ-বাইতুল মাল সম্পাদক মাওলানা ফজলুর রহমান, মাওলানা হাশমতুল্লাহ ফরিদি।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ খেলাফত যুব মজলিসের কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা জহিরুল ইসলাম, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মাওলানা শরীফ হুসাইন, ঢাকা মহানগরীর প্রশিক্ষণ সম্পাদক মাওলানা শহীদুল ইসলাম, মাওলানা জাহিদুজ্জামান মাওলানা আল আবিদ শাকির।
যুব মজলিসের রোহিঙ্গা শিবিরের সবচেয়ে বড় মসজিদ ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে
আরআর