শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


নীল নদের কাছে খলিফার চিঠি...

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

ওমর শাহ : হিজরি ২০ সাল। হযরত ওমর রা. এর শাসনকাল। মিশর জয় করলেন হযরত ওমর ইবনে আস রা.। মিশরে তখন প্রবল খড়া। পানিশূণ্য মিশরের নীল নদ। সেনাপতি আমর ইবনুল আস রা. অধিবাসীদের জিজ্ঞাস করলেন, নীল নদের এমন অবস্থা কেন?

তারা বললেন, হে আমির! নীল নদে বছরের একটি সময় পানি প্রবাহিত হয়, বাকি সময় নীল নদ পানি শূন্য থাকে, তবে নদীতে কুমারি সুন্দরি যুবতি কন্যা উৎসর্গ করলে দেবতার আশীর্বাদে নীল নদ আবার পানিতে ভরে উঠবে। আমর ইবনুল আস রা. বললেন, ইসলামে এই কাজের কোন অনুমোদন নেই। ইসলাম প্রাচীন সব মূর্খ রীতি-নীতিকে বিলুপ্ত করে দিয়েছে।

সেনাপতির নির্দেশে সুন্দরী কন্যা উৎসর্গ থেকে বিরত থাকলেন মিশরবাসীরা। তিনমাস পার হয়ে গেলেও পানি শূন্য নীল নদ। জীবন যাবন দুর্ভোগময়। মিশর অধিবাসীরা দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্ত নিলেন। এ অবস্থা দেখে হযরত আমর ইবনুল আস খলিফা হযরত ওমরকে চিঠি লেখেন। আমরের পত্র পেয়ে খলিফা ওমর রা. নীল নদকে উদ্দেশ্য করে একটি পত্র লেখেন।

“আল্লাহর বান্দা আমীরুল মুমিনীন ওমরের পক্ষ থেকে মিশরের নীল নদের প্রতি প্রেরিত এই পত্র। হে নীল নদ! তুমি যদি নিজের ক্ষমতা বলে ও নিজের পক্ষ থেকে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে তুমি আজ থেকে আর প্রবাহিত হওয়া থেতে বিরত থাক। তোমার কাছে আমাদের কোন প্রয়োজন নেই। আর তুমি যদি মহা পরাক্রমশালী এক আল্লাহর নির্দেশে প্রবাহিত হয়ে থাক, তাহলে আমরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি তিনি যেন তোমাকে প্রবাহিত করেন”।

আমর ইবনুল আস নীল নদের তীরে গিয়ে হযরত ওমরের পত্রটি নদীতে নিক্ষেপ করেন। পরদিন শনিবার। জেগে উঠে নীল নদ। সকালে মিশরবাসী অবাক নয়নে দেখেন, আল্লাহ তায়ালা এক রাতে নীল নদের পানিকে ১৬ গজ উচ্চতায় প্রবাহিত করে দিয়েছেন। চকচকে ঝকঝকে পানিতে ভরে উঠে নীল নদ। সেই থেকে আজ পর্যন্ত শুকায়নি নীল নদ। এক মিনিটের জন্যও।

আরও পড়ুন : জেরুসালেম সফরে খলিফা ওমর রা. যে কারণে রেগে গিয়েছিলেন!


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ