আওয়ার ইসলাম: নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত ঢাকার নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর বদল হওয়া মরদেহ শরীয়তপুরের ডামুড্যা থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। এ সময় ঢাকা থেকে নিয়ে আসা ফয়সাল আহমেদের মরদেহটি রাতেই জানাজা শেষে একই স্থানে দাফন করা হয়।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফয়সালের বাড়ি থেকে নাজিয়ার মরদেহটি উত্তোলন করে ভাই আলী আহাদ চৌধুরীর কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডামুড্যা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোজী আক্তার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে উপস্থিত থেকে মরদেহটি হস্তান্তর করেন।
নিহতের পরিবার জানায়, ১৯ মার্চ আর্মি স্টেডিয়াম থেকে স্বজনরা মরদেহ গ্রহণের সময় ভুলবশত বৈশাখী টেলিভিশনের সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের মরদেহের পরিবর্তে একই ঘটনায় নিহত ঢাকার নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর মরদেহ শরীয়তপুরের ডামুড্যায় ফয়সালের বাড়ির আঙিনায় দাফন করেন। আর ফয়সালের মরদেহ নাজিয়ার মরদেহ ভেবে দাফন করা হয় বনানী কবরস্থানে।
বিষয়টি ২০ মার্চ জানাজা শেষে ফয়সালের মরদেহ দাফনের সময় তার স্বজনরা নিশ্চিত হলেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে এমন শঙ্কায় নাজিয়ার মরদেহই দাফন করেন। একইভাবে ঢাকার সূত্রাপুরের টিপু সুলতান রোডের মৃত আলী আকবর চৌধূরীর মেয়ে নাজিয়া আফরিন চৌধুরী মনে করে সাংবাদিক আহমেদ ফয়সালের মরদেহ দাফন করেন নাজিয়ার স্বজনরা।
বিষয়টি উভয় পরিবার জানার পর মরদেহ উত্তোলন করে যার যার নির্ধারিত স্থানে নতুন করে দাফনের জন্য আদালতের কাছে অনুমোতি চেয়ে আবেদন করলে আদালতের নির্দেশে মরদেহ দুটি উত্তোলন করা হয়। ঢাকার আদালতে আবেদন করেন আহমেদ ফয়সালের পরিবার। অন্যদিকে শরীয়তপুর আদালতে আবেদন করেন নাজিয়া আফরিন চৌধুরীর পরিবার।
আরো পড়ুন- ছবি কথা বলে, নেপালের বাংলাদেশি বিমান দুর্ঘটনা