আওয়ার ইসলাম : আত্মহত্যায় প্ররোচণাকারী ব্লু হোয়েল গেমসহ এ ধরনের সব গেমের গেটওয়ের লিঙ্ক ও অ্যাপলিকেশন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে স্পেশাল মনিটরিং কমিটিও গঠন করা হয়েছে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে এই ব্যবস্থা নিয়েছে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে পদক্ষেপ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়।
এতে সরকারের পক্ষ থেকে চারটি পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। এগুলো হলো;
১. হাইকোর্টের নির্দেশনার পরিপ্রেক্ষিতে মোবাইল ও অনলাইনে ক্ষতিকর গেমস বন্ধ করার জন্য বিটিআরসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত সব ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) এবং সেলুলার মোবাইল ফোন অপারেটরদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
২. অনলাইনভিত্তিক আত্মঘাতী/সংঘাতমূলক/রাষ্ট্র ও সমাজবিরোধী ওয়েবসাইট ও গেমসমূহের ব্যবহার সীমিত করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রাত ১২টা থেকে ভোর ছয়টা পর্যন্ত নতুন ও চলমান সব প্রমোশনাল ইন্টারনেট/ডাটা অফার বন্ধ রাখার জন্য সব মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়।
৩. কতিপয় ক্ষতিকর অনলাইন গেমস, অ্যাপলিকেশন্স, ওয়েবসাইটের নাম উল্লেখপূর্বক তা বন্ধ করার জন্য সব আইআইজিকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এগুলো ছাড়াও অন্য কোনো ক্ষতিকর অনলাইন গেমস, অ্যাপলিকেশন্স, ওয়েবসাইট পাওয়া গেলে পরবর্তী নির্দেশনার জন্য বিটিআরসিকে অবহিত করতেও জানানো হয়।
৪. ক্ষতিকর এসবের বিষয়ে জনসচেতনতায় স্ক্রলে প্রচারের জন্য সব টিভিকে অনুরোধ করা হয়।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর আদালত আদেশ দিয়ে বলেছেন, ক্ষতিকর এ ধরনের খেলাগুলোতে আসক্তদের কাউন্সেলিং এবং তদন্তের বিষয়ে আগামী ২৬ মে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতে হবে। পরের দিন ২৭ মে এ বিষয়ে আদেশের জন্য মামলাটি কার্যতালিকায় থাকবে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। আর রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী হুমায়ুন কবির।
আরও পড়ুন : ব্লু হোয়েল গেম বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে রিট