শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


স্বাধীনতা যুদ্ধে অবদান রাখায় আল্লামা শামসুদ্দীন কাসেমী রহ.কে সম্মাননা

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ ও শিক্ষাবিদ এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আল্লামা শামসুদ্দীন কাসেমী রহ. কে ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রাখায় বিশেষ সম্মাননা দেয়া হয়েছে।

তিনি একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদারদের জুলুম নিযার্তনের বিরুদ্ধে লেখালেখি ও রাজপথে বক্তব্য দেয়ায় পাকিস্তান আর্মি তাকে গ্রেপ্তার করে ক্যান্টেনম্যান্টে নিয়ে যায়।

জমিয়তের এই সাবেক মহাসচিব, আল্লামা শামসুদ্দীন কাসেমী রহ.সহ জমিয়ত নেতৃবৃন্দ ১৯৭১ সালের ২২ মার্চ রেজুলেশন করে স্বাধীনতা সংগ্রামের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করেন।

আল্লামা শামসুদ্দীন কাসেমী রহ. স্বাধীনতা সংগ্রামে তার বিশেষ অবদানের কথা স্মরণ করে ৪৮ চল্লিশ বছর পর স্বাধীনতার মাসে রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বৃহত্তর মিরপুরে ‘মিলন মেলা ২০১৮ উদযাপন কমিটির’ পক্ষ থেকে মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা শামসুদ্দীন কাসেমী রহ.কে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয় ৷

মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে স্মারকটি গ্রহণ করেন তার বড় ছেলে জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের প্রিন্সিপাল,ইত্তেফাকুল মাদারিসির কওমিয়্যাহ বৃহত্তর মিরপুরের সম্মানিত সভাপতি ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুগ্মমহাসচিব
মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া।

জিবিএইচবি ক্রীড়া ও সমাজ কল্যাণ সংঘ বৃহত্তর মিরপুরে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে মিলন মেলা ২০১৮-এর আয়োজন করে। ওই আয়োজনে আল্লামা শামসুদ্দীন কাসেমীকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়।

মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে স্মারকটি গ্রহণ করেন তার বড় ছেলে জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের প্রিন্সিপাল ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় যুগ্ম-মহাসচিব মাওলানা বাহাউদ্দীন যাকারিয়া।

আল্লামা শামছুদ্দীন কাসেমী সন্দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। তৎকালীন জমিদারদের অত্যাচার ও বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদীদের বিরুদ্ধে সংগঠিত আন্দোলনে তার পূর্বপুরুষদের ভূমিকা ও অবদান অবিস্মরণীয়।

দেশ-বিদেশে শিক্ষাগ্রহণ শেষে ১৯৬১ সালে ময়মনসিংহ জেলার সোহাগী মাদরাসার শিক্ষক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু। তিনি অনেক মাদরাসা, মসজিদ ও মক্তব প্রতিষ্ঠা করেছেন। জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মাদরাসাটি তার অক্লান্ত প্রচেষ্টায় পূর্ণাঙ্গরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়।

ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তিনি জামিয়া হোসাইনিয়া ইসলামিয়া আরজাবাদের শায়খুল হাদিস এবং মুহতামিমের দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৬৬ সালে ঢাকায় জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের পূর্ব পাকিস্তানের কমিটি গঠিত হলে তিনি এর সেক্রেটারি জেনারেল নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত তিনি জমিয়তের সেক্রেটারি জেনারেলের দায়িত্ব পালন করেন।

স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে তিনি জমিয়তের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৭৭ সালে পুনরায় সেক্রেটারি জেনারেল পদে নির্বাচিত হন এবং ১৯৯১ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি জমিয়তের নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ইন্তেকালের আগ পর্যন্ত তিনি ওই দায়িত্ব পালন করেন।

আরজাবাদ মাদরাসার মুহতামিম হলেন মাওলানা বাহাউদ্দীন জাকারিয়া

রোরা


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ