আওয়ার ইসলাম: বরিশালের হিজলায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের কর্মসূচিতে ফুল দেওয়া নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে হিজলা উপজেলা পরিষদ চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রায় অর্ধ ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং সংঘর্ষের ঘটনায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শহীদ মিনারে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠান এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা ফুল তছনছ এবং ছিঁড়ে ফেলা হয়। ঘটনার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও এরপর আর কাউকে ফুল দিতে দেয়নি ছাত্রলীগের একাংশ।
সকাল পৌনে ৮টায় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. সোলায়মান হোসেন শান্ত ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদসহ অন্যান্যরা।
এর পরই উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আমির হোসেনের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের আরেকটি গ্রুপ ফুলের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে যান। এ সময় তাদের শহীদ মিনারে ফুল দিতে বাধা দেন উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সোলায়মান ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আজাদ। এ নিয়ে বাদানুবাদের এক পর্যায়ে আমিরের পক্ষাবলম্বন করে বাদানুবাদে লিপ্ত হন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বড়জালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহাবউদ্দিন পন্ডিত।
এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সোলায়মান ও আজাদ গ্রুপের নেতাকর্মীরা শাহাবউদ্দিন পন্ডিত ও উপজেলা ছাত্রলীগ সদস্য জসিম উদ্দিনকে বেধড়ক মারধর করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কিছুক্ষণ ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পুলিশ তাৎক্ষণিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করলেও কিছুক্ষণ পর আবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে।
এ সময় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলাকারীরা শহীদ মিনারে থাকা সকল ফুল তছনছ এবং ছিড়ে ফেলে। আহতদের মধ্যে ছাত্রলীগ কর্মী জসিমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এইচজে