রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


মধ্যরাতে ভালুকায় ভবনে বিস্ফোরণে নিহত ১

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ময়মনসিংহের ভালুকায় মধ্যরাতে একটি ভবনে বিকট বিস্ফোরণে এক বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে, দগ্ধ হয়েছে আরও তিনজন।

শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভালুকার জামিরজিয়া মাস্টারবাড়ি এলাকায় আর এস টাওয়ার নামের একটি ছয় তলা ভবনের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।

জেলার পুলিশ সুপার সৈয়দ নুরুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিস্ফোরণে ভেতরের সবকিছুই চুরমার হয়ে গেছে। এটা বোমা হতে পারে, আবার গ্যাস সিলিন্ডার থেকেও হতে পারে। আমরা এখনই নিশ্চিত করে বলতে পারছি না।”

ঢাকা থেকে বোমা নিষ্ক্রিয়কারী ইউনিটের সদস্যরা এসে কাজ শুরু করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, “তাদের কাজ শেষ হলে বিস্ফোরণের কারণ হয়ত বোঝা যাবে।”

বিস্ফোরণে নিহত তৌহিদুল ইসলাম ওরফে তপুর লাশ এখনও ঘটনাস্থলেই আছে। গুরুতর আহত শাহীন, হাফিজ ও দীপ্ত সরকারকে পাঠানো হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, হতাহত চারজনই খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। একটি টেক্সটাইল মিলে ইন্টার্ন করতে তারা ভালুকায় এসে গত ১০ মার্চ আর এস টাওয়ারের তৃতীয় তলার ওই বাসা এক মাসের জন্য ভাড়া নেন।

নতুন তৈরি করা ওই ভবনের মালিক আব্দুর রাজ্জাক (৫২) ঝুট কাপড়ের ব্যবসা করেন, তিনি থাকেন ঢাকায়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে র্যাব-১৪ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শরিফুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।

ফায়ার সার্ভিসের ভালুকা স্টেশনের ইনচার্জ রেজাউর রহমান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই ভবনে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের খবর পেয়ে তাদের কর্মীরা সেখানে যান। তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে একজনের ছিন্নভিন্ন দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

বিস্ফোরণ এতটাই ভয়াবহ ছিল যে ওই ফ্লোরের দুটি দেয়াল ভেঙে পড়ে। জানালার কাচ ও পার্টিশন ভেঙে চুরমার হয়ে যায়। একটি জানালার গ্রিল বিস্ফোরণের ধাক্কায় ছিটকে পড়ে দূরে।

আর এস টাওয়ারের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, নতুন এই ভবনে ছয় তলায় মোট ৪২টি ফ্ল্যাট রয়েছে। তবে সবগুলোর কাজ শেষ না হওয়ায় বেশিরভাগ ফ্ল্যাটে এখনও ভাড়াটে ওঠেনি। বাসায় গ্যাসের লাইন না থাকায় সিলিন্ডারের গ্যাস দিয়ে রান্নার কাজ চালাতে হয়।

ভবনের পতুর্থ তলার বাসিন্দা এক নারী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “রাতের বেলায় বিকট শব্দ শুনে আমরা ভাবছি ডাকাত। তাড়াহুড়ো করে নেমে দেখি তিন তলা থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ওখান থেকে বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করছিল। পরে লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে।

পাশের একটি ভবনের বাসিন্দা আবু বকর সিদ্দিকী বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে তিনিও বাইরে এসে ধোঁয়া দেখেন। পরে ওই ফ্ল্যাটে গিয়ে রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। স্থানীয়দের সহযোগিতায় পরে আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আবু বকর বলেন, ওই ফ্ল্যাটের চার যুবক এলাকায় নতুন এসেছে এবং তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে বলে তিনি শুনেছেন। তবে তাদের সম্পর্কে তেমন কিছু জানেন না।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ