সুলাইমান সাদি: মিথ্যা, অহঙ্কার, হিংসা, লোভ, নিন্দা, অপবাদ এজাতীয় মানবিক ব্যাধিগুলো একজন মুমিনের ঈমানি পথে সবচেয়ে বড় বাধা।
মুমিনের চরিত্রে এসব ব্যাধির উপস্থিতি কল্পণা করা যায় না। একজন মুমিন কেন ব্যাধিগ্রস্ত হবে। যে ত্রুটিগুলো একজন মানুষকে মানুষ হওয়ার পথেই অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায় সেগুলো একজন মুমিনকে কি করে প্রভাবিত করতে পারে?
আল্লাহ তাআলা মুমিনকে এমন এক জীবনাচার দান করেছেন, যার ওপর চলতে পারলে তার দুনিয়া ও আখেরাত শান্তি ও কামিয়াবিতে ভরে উঠবে। তাই নামায, রোযা, হজ্ব, যাকাতসহ যাবতীয় ছোটবড় আমল মুমিনকে সবরকম গুনাহ থেকে বিরত রাখে।
একজন মুমিন যতক্ষণ সুন্নতের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে সবগুলো আমল ঠিকঠাক আদায় করবে ততক্ষণ তার অন্তরে, দেহে, জীবনে; তার ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে কোনও প্রকার অন্যায় কাজ চলতে পারে না। ঈমানদারদের ঈমানি শক্তিই পৃথিবীকে সুন্দর ও সুশৃঙ্খল করে রাখতে পারে।
কিন্তু, বেদনার বিষয় হলো, বর্তমানে আমাদের জীবনাচারে এসব বড় বড় ব্যধি এমনভাবে ঢুকে পড়েছেÑ আমাদের ঈমান, আমল, চরিত্র ও আদর্শ মারাত্মকভাবে কালিমাযুক্ত হয়ে উঠেছে। বিশেষভাবে মানুষের নিন্দা ও সমালোচনা আজ সমাজের সর্বস্তরে ভয়াবহ আকারে ছড়িয়ে পড়েছে।
নিন্দা ও সমালোচনা মানুষকে অন্ধ বানিয়ে দিয়েছে। মানুষের মধ্য থেকে মানুষের সম্মান, ভালোবাসা, সম্প্রতি, করুণা সব উঠিয়ে নিয়েছে। ফলে সামাজিক কর্মকা-, শিক্ষাব্যবস্থা, প্রতিষ্ঠান-সংস্থা, রাজনৈতিক দল সবাই একে অপরের নিন্দা ও সমালোচনার মোহে পড়ে নিজেদের মৌলিক কাজ ভুলে বসেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে দেখা দিয়েছে মারাত্মক বিশৃঙ্খলা।
এ ভয়াবহ দুরবস্থা থেকে মুক্তি পেতে আসুন আমরা একে অপরের প্রতি, একদল আরেক দলের প্রতি নিন্দা ও সমালোচনার তীর ছুঁড়ে না দিয়ে পরস্পরের মধ্যে গড়ে তুলি সম্মান, ভালোবাসা, সম্প্রতি, করুণার সম্পর্ক।
সুস্থ করে তুলি নিজেদের ঈমান, আমল, দুনিয়া ও আখেরাত। সুখ ও সংযমে ভরিয়ে তুলি আমাদের অন্তরজগত।
-আরআর