শরীফ মুহাম্মদ
আলেম, সাংবাদিক
মোশাররফ করিমের ফুটেজটা মাত্র দেখলাম। কথা নাতিদীর্ঘ। এখানে শুধু চারটি কথা বলি।
# পুরুষের মনকে তো শাসন করতেই হবে। এটা সবসময়। নারীর পোশাক বড় থাকলেও, ছোট থাকলেও, না থাকলেও। এটা আলাদা বিষয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর সঙ্গে মিলিয়ে নারীর পোশাকের বিষয়টিকে হালকা করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। নমুনা হিসেবে তিনটি প্রশ্ন।
১. পোশাক যদি কোনো ব্যাপারই না হয়, তাহলে ছোটদের জন্য, কখনো কখনো বড়দের জন্যও ইন্টারনেটের প্রাপ্তবয়স্ক কনটেন্ট ফিল্টারিংয়ের কথা সেক্যুলাররাও কেন বলেন?
২. আধা উদাম, উদাম নারীদের নিয়ে এই যে বিশাল শো বিজ, এটাকে এন্টারটেইনমেন্ট বা বিনোদন কেন বলা হয়? স্বল্পবসনা নারী যদি চিত্তে কোনো দোলা না-ই দেয়, তাহলে এটাকে বিনোদন কেন বলা হয়?
৩. কিছু ছবি/মুভির সঙ্গে প্রাপ্তবয়স্ক লেবেল কেন লাগিয়ে দেওয়া হয়? কেন সেখান থেকে শিশু -কিশোরদের বাঁচানোর চেষ্টা করা হয়?
(বোঝা যায়, পোশাকও ব্যাপার। নগ্নতা, আধা নগ্নতাও ব্যাপার। প্রতিটি বিষয়ই মানুষকে ইতিবাচক/নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে।)
যারা নারীকে বোরকা পরতে বলেন, বড় পোশাক পরতে বলেন- উপরের প্রশ্নগুলোর সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। অর্থাৎ সাধারণ সত্যটাকে সেক্যুলার মতলবীরাই আগে মানেন।
কিন্তু আসল মতলবের সময় সেই সত্যিটাই তারা অস্বীকার করেন। এক জায়গায় মানেন, আরেক জায়গায় উল্টে দেন।
এটা একা মোশাররফ করিমের সমস্যা না। সে একটি কণ্ঠ। পেছনে বিশাল মতলববাজ প্লাটফর্ম। এবং এটি একটি প্রজেক্ট। আর এরা সবাই সমান দোষী।
পোশাক নিয়ে মোশাররফ করিমের অনভিপ্রেত বক্তব্য; আমাদের সমুচিত জবাব!
আরআর