ফেসবুকে ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখবেন কীভাবে? ফেসবুক ডিলিট করা ছাড়া সত্যিকার অর্থেই কোন উপায় নেই। তারপরও সামাজিক যোগাযোগের এই জগতে ফেসবুক ছাড়া কোথায় যাবেন? যেহেতু ফেসবুক ব্যবহার করতেই হবে, তাই ফেসবুক ব্যবহার করার সময় মেনে চলতে পারেন নিচের নিয়মগুলো।
১. থার্ড পার্টি ওয়েবসাইট, অ্যাপস, গেমে ফেসবুকের মাধ্যমে সাইন আপ করার আগে এটা মাথায় রাখুন যে এগুলো ফেসবুকে থাকা আপনার ব্যক্তিগত তথ্যে অনুপ্রবেশ করতে পারে। এটা প্রতিরোধ করার দুইটি উপায় আছে।
ক. প্রথমে ফেসবুকে লগ ইন করে অ্যাপ সেটিং পেজে গিয়ে অ্যাপসে ক্লিক করুন। তারপর অ্যাপস, ওয়েবসাইটস এন্ড প্লাগিন্স-এর এডিট বাটনে ক্লিক করুন এবং প্ল্যাটফর্মটিকে ডিজেবল করে দিন। এটা করার অর্থ হচ্ছে, আপনি ফেসবুক থেকে তৃতীয় কোন পার্টির সাইট ব্যবহার করতে পারবেন না।
খ. আরেকটা উপায় হচ্ছে, ফেসবুকে লগ ইন করে অ্যাপ সেটিং পেজে গিয়ে অ্যাপসে ক্লিক করুন। তারপর 'অ্যাপস আদার্স ইউজে' গিয়ে আপনার যেসব তথ্য অন্য কোন অ্যাপস দেখুক সেটা না চান তাহলে সেগুলো আনক্লিক করুন। এর মধ্যে যেমন আছে জন্ম তারিখ, পরিবার, ধর্মীয় পরিচয়, আপনি অনলাইন কিনা, আপনার টাইমলাইনের পোস্ট, আপনার আগ্রহ ইত্যাদি বিষয়। এবার থার্ড পার্টি সাইটগুলো আপনি ব্যবহার করতে পারবে ঠিকই কিন্তু তারা আর আপনার এসকল ব্যাক্তিগত তথ্যাদি নিতে পারবে না।
২. আজই ফেসবুকের প্রাইভেসি সেটিংস চেক করুন। আপনি চাইলে আপনার ফেসবুক পোষ্ট এবং ছবি শুধু আপনার বন্ধুরা দেখতে পারবে এভাবে ও সেট করে দিতে পারবেন।
৩. নতুন কোন অ্যাপস কিংবা ওয়েব টুলে সাইন আপ করার সময় অবশ্যই পড়ে দেখবেন তাদের প্রাইভেসি পলিসিগুলো। এগুলো না পড়েই সাইন ইন করা মানে এক অর্থে আপনি নিজের ব্যাক্তিগত তথ্য তাদের হাতে তুলে দিয়েছেন। যদি পলিসি পড়ে মনে হয় আপনার তথ্য বেহাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, দরকার নেই ওই অ্যাপ ব্যবহার করার।
৪. ব্রাউজারে ট্র্যাকার ব্লকার ব্যবহার করুন। আপনি যদি ফেসবুক দিয়ে যদি কোনো অ্যাপে সাইন আপ করেন। আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে সেই অ্যাপটি একটি প্রোফাইল ট্র্যাকার বসিয়ে রাখে সাথে সাথে। আপনি যদি অ্যাপটি আর ব্যবহার নাও করেন, ওই অ্যাপটি চাইলে অনলাইনে আপনার গতিবিধি নজরদারি করতে পারে। এজন্যই ট্র্যাকার ব্লকার ব্যবহার করুন।
৫. অ্যাড ব্লকার ব্যবহার করারও কোন বিকল্প নেই। অনলাইনের বিভিন্ন অ্যাডে অনেক ধরনের ম্যালওয়্যার থাকে যেগুলো আপনার তথ্য হাতিয়ে নিতে পারে। তাই অ্যাড ব্লকার অবশ্যই ব্যবহার করুন।
৬. আপনার ব্রাউজিং ডাটা প্রতিদিন মুছে ফেলুন। এতে করে আপনার দৈনিক কুকি, ট্র্যাকারগুলো আপনি প্রতিদিনই ডিলিট করে দিতে পারবেন।
৭. আপনি মডেল হলে কেমন হতেন, আপনার চেহারা দেখে আপনার ব্যক্তিত্ব কীরকম- এই ধরনের অনলাইন খেলা, কুইজ কিংবা ধাধা একদমই খেলা, যাবে না, এগুলো আপনার তথ্য জমা করে রাখে।
৮. অপরিচিত কোন ব্র্যান্ডের কোন অ্যাপ কিংবা ওয়েব অ্যাপে কোনোভাবেই ঢুকবেন না। আরটিভি।