রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
তোপের মুখে পড়েছে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক। অনেকের মনে এখন প্রশ্ন জেগেছে ফেসবুক কি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে? ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তারা তাদের ব্যবহারকারীদের তথ্য ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে তুলে দিয়েছে। প্রায় ৫০ মিলিয়ন মানুষের তথ্য নিয়ে ওই সংস্থাটি করছে বলে অভিযোগ ওঠে।
এদিকে ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা দাবি করছে ফেসবুক প্ল্যাটফর্মে ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত নয়। এজন্য ফেসবুক ব্যবহার বন্ধ করে দিতে ফেসবুক ডিলিট করার পরামর্শ দিয়েছেন হোয়াটসঅ্যাপের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান অ্যাক্টন। ফেসবুক তথ্য ফাঁস করে এমন অভিযোগে তুলে ফেসবুক ডিলিট করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি৷ অ্যাক্টন সম্প্রতি টুইটারে লিখেছেন, ‘‘It is time. #deletefacebook’।
#DeleteFacebook ৷ এই হ্যাশট্যাগ রীতিমত হইচই ফেলে দিয়েছে টুইটারে ৷ ফেসবুক বন্ধ করার দাবিতে উঠেপড়ে লেগেছেন সবাই ৷ এমনকী, টুইটার ট্রেন্ডেও একেবারে প্রথমের সারিতে উঠে এসেছে এই হ্যাশট্যাগ বিপ্লব ৷ কিন্তু এই বিপ্লব ঘটনোর আসল কারণটি ঠিক কি ?
বিপ্লবের সূত্রপাত বিরেইন অ্যাক্টনেরই টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে ৷ ভারতীয় সময় অনুযায়ী, ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ হোয়াটসঅ্যাপের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিরেইন টুইটারে ‘It is time. #deletefacebook’ পোস্ট করেন ৷ বেরেইন টুইটারে তাঁর ফলোয়ারদের উদ্দেশে বলেন, এটিই সঠিক সময় ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার ৷ আর তার েএই পোস্টের কারণে তোলপাড় শুরু হয় অনলাইন দুনিয়ায়।
বিদেশি একটি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা রিসার্চের প্রধান ক্রিস্টোফার উইলি সম্পূর্ণ বিষয়টি ফাঁস করেন ৷
তবে ফেসবুকের তরফ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়৷ জানানো হয় সোশ্যাল সাইট ফেসবুক সম্পূর্ণ সুরক্ষিত৷ কোনও তথ্য কোনওভাবে এখান থেকে ফাঁস হয় না৷ কিন্তু তা সত্ত্বেও গত ৫ দিনে কোম্পানির শেয়ার ব্যাপক হারে পড়ে যায়৷
ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা ২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচন ক্যাম্পেইনের সময় কাজ করেছিল৷
ক্যামব্রিজ অ্যানালিটিকা মঙ্গলবার কোম্পানির চিফ এক্সিকিউটিভ অ্যালেকজান্ডার নিক্সকে সাসপেন্ড করে৷ ৫০ মিলিয়নের বেশি ফেসবুক ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য জালিয়াতির অভিযোগে তাকে সাসপেন্ড করা হয়৷