মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
সম্পাদক, আদর্শ নারী
মুফতী মিযানুর রহমান সাঈদ সাহেব একজন প্রথিতযশা আলেম ও দায়িত্ববান দ্বীনগবেষক। তার কথার ওজন তার মতোই দায়িত্বপূর্ণ হওয়াই অবশম্ভাবী।
মুফতী সাহেবের সাম্প্রতিক চরমোনাই মাহফিলে প্রদত্ত জাকির নায়েক ও আহলে হাদীস নিয়ে বক্তব্যের ব্যাপারে অযথাই কিছু লোক বিষোদগার করে ফেসবুক গরম করছেন। আর এতে বেমালুম বাতিলপন্থীদের পক্ষেই তাদের অবস্থান চলে যাচ্ছে। যা দেখে ওরা মুখ টিপে হাসছে।
মুফতী সাহেবের সেই বয়ান পুরোটা আমি শুনেছি। সেই বয়ান পুরোটা শুনলে এবং অনুধাবন করলে কোনোরূপ প্রশ্ন উঠার কথা নয়।
তার যে বয়ানের ব্যাপারে আপত্তি তোলা হচ্ছে, তিনি সেখানে দেওয়ানবাগী, শিরককারী, বিদ‘আতী, জাকির নায়েক, আহলে হাদীস প্রমুখ সম্পর্কে পরিচয় দিয়েছেন। এরপর বলেছেন, ‘সকল বাতিলকে আল্লাহ তা‘আলা পরকালে হিসাব নিবেন এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’
তিনি সেখানে, ‘জাকির নায়েক ও আহলে হাদীসরা জাহান্নামে যাবে’ সরাসরি এ কথা বলেননি। বরং এক্ষেত্রে তিনি ‘বাতিল’ শব্দ উল্লেখ করেছেন এবং পরকালে আল্লাহর ‘হিসাব’ নেয়ার কথাও বলেছেন, ‘বাতিলদেরকে আল্লাহ তা‘আলা পরকালে হিসাব নিবেন এবং জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন।’
অবশ্যই যারা পরকালের হিসাব-কিতাবে মহান আল্লাহর দরবারে বাতিল ও গোমরাহ বলে সাব্যস্ত হবে, তারা যে জাহান্নামী হবে, এটা তো হাদিসেই রয়েছে- وكل ضلالة في النار ‘প্রত্যেক গোমরাহী জাহান্নামে যাবে।’ (সুনানে নাসায়ী, হাদীস নং ১৫৭৮)
সুতরাং মুফতী মিযানুর রহমান সাঈদ সাহেবের বক্তব্যে তো বাতিলপন্থীদেরই গা জ্বলে উঠার কথা এবং সংশোধনের চিন্তা করা দরকার। কিন্তু সেখানে উল্লিখিত ব্যক্তিবর্গের জন্য বাতিলপন্থীদের পক্ষ নিয়ে গা জ্বালা প্রকাশ করার কোনো মানে হয় না।
আসুন, সবাই হকপন্থার নীতি ও আদর্শকে সমুন্নত রাখি। বাতিলপন্থীদের পক্ষ নিয়ে নিজেদের নিজেরাই টার্গেট করে তাদের হাসির খোরাক না জোগাই।
মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদীর ফেসবুক ওয়াল থেকে
https://www.facebook.com/100006512326188/videos/2269616223265433/