হামিম আরিফ: প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীরবিক্রমের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন হাইআতুল উলয়ার বেফাক ব্যতীত অন্য ৫ বোর্ডের নেতৃবৃন্দ।
আজ রোববার দুপুর ১১ টায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে। বৈঠকে অংশ নিতে বোর্ডের নেতারা ইতোমধ্যেই রওনা হয়েছেন বলে আওয়ার ইসলামকে জানান সিলেট এদারার মাওলানা এনামুল হক।
বৈঠকে ৪ টি দাবি উত্থাপন করা হবে বলে জানা গেছে।
বেফাক ব্যতিত হাইয়াতুল উলয়ায় থাকা বোর্ডগুলো হলো- সিলেট আজাদ দীনি এদারা, তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়া, জাতীয় দীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গা ও ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়া।
বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন, ইত্তেহাদুল মাদারিসিল কওমিয়ার মহাসচিব আল্লামা আবদুল হালিম বুখারী, জাতীয় দীনি মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান আল্লামা ফরীদ উদ্দীন মাসউদ ও মহাসচিব মুফতি মুহাম্মদ আলী, তানজিমুল মাদারিসিল কওমিয়ার সভাপতি মাওলানা আরশাদ রাহমানী, বেফাকুল মাদারিসিল কওমিয়া গওহরডাঙ্গার মুফতি রুহুল আমিন ও সিলেট আজাদ দীনি এদারার মহাসচিব মাওলানা আবদুল বছির, প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা এনামুল হক ও নির্বাহী সদস্য মাওলানা ইউসুফ খাদিমানী।
জানা যায়, কয়েকটি দাবি নিয়ে তারা প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিবের সঙ্গে বৈঠক করবেন। দাবিগুলো হলো, হাইআতুল উলয়ার কমিটিতে বেফাক বোর্ডের বাইরে অন্যবোর্ড থেকে একজন কো চেয়ারম্যান দেয়া।
হাইআতুল উলয়ার বৈঠকে ৫ বোর্ডের নেতা বা প্রতিনিধি অনুপস্থিত থাকলে কোরাম পূর্ণ না হওয়া। পাঁচবোর্ডের জন্য মহাসচিব পদ তৈরি করা এবং মাদরাসাগুলো যে কোনো বোর্ডে চাইলে যেতে পারে এ স্বাধীনতা থাকা।
এছাড়াও গত ১২ মার্চ হাটহাজারী মাদরাসায় হাইআতুল উলয়ার যে বৈঠক হয়েছে তা পাঁঁচ বোর্ড থেকে প্রত্যাখান করা হয়েছে বলে জানান মাওলানা এনামুল হক।
তিনি বলেন, ওই বৈঠকে ৫ বোর্ডের কেউ উপস্থিত ছিলাম না, সুতরাং সেটা বেফাকের বৈঠক হিসেবেই গণ্য হবে। আর যেসব সিদ্ধান্ত সেখানে হয়েছে সেগুলোও আমরা মানবো না।
‘ধুলামুক্ত ঢাকা চাই’ ক্যাম্পিং শুরু করছে আওয়ার ইসলাম
উল্লেখ্য, এর আগেও গত বছরের ৮ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মুহাম্মদ জয়নুল আবেদীন বীরবিক্রমের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পাঁচ বোর্ডের নেতৃবৃন্দ।
সেই বৈঠকেও ৫ বোর্ডের নেতৃবৃন্দের এমনই দাবি দাওয়া ছিল।
আরও পড়ুন: কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলেছেন তসলিমা নাসরিন