মাওলানা নোমান হাবিবী। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান জামিয়া ইউনুসিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিস। একজন খ্যতিমান ওয়ায়েজ ও আরবি ভাষাবিদ।
নিজের অনেক পরিচয় থাকলেও নাম যশের কথা কখনোই ভাবেন না। আড়ালপ্রিয় এ মানুষটি সারা দেশে দীনের খেদমতে ঘাম ঝড়াচ্ছেন। নরম দিলের শিক্ষা নিয়ে বেড়ে উঠছে তার দরসের শিক্ষার্থীরা।
রাজধানীর ঢালকানগর মাদরাসার সাবেক এ মুহাদ্দিস মুখোমুখি হয়েছিলেন আওয়ার ইসলামের।
ইলম, ওলামায়ে কেরাম ও ওয়াজ নসিহত নিয়ে জামিয়া ইউনুসিয়ায় বসে তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকমের সম্পাদক হুমায়ুন আইয়ুব।
আওয়ার ইসলাম : সবচেয়ে বেশি ওয়াজ-মাহফিল আমাদের দেশেই হয়ে থাকে। ওয়াজ-মাহফিল এ দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে। শহর এবং মফস্বলে শীতের মৌসুমে ওয়াজ-মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে।
এছাড়াও আমরা দেখতে পাই, বছরের বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্থানে মাহফিলের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আমরা আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি, আমাদের জন্য ওয়াজের প্রয়োজনীয়তা কতটুকু?
মাওলানা নোমান হাবিবী: অবশ্যই ওয়াজের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, নসিহত কর, নসিহত মুমিনদের উপকারে আসবে। ওয়াজ-মাহলিলের মাধ্যমে অবশ্যই মানুষের উপকার হবে।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনুল কারিমে ওয়াজ-নসিহতের আয়াত নাজিল করেছেন। আল্লাহর রাসুল সা. হাদিসের মাধ্যমে মানবজাতির উদ্দেশ্যে নসিহত করে গেছেন। ওলামায়ে কেরাম মূলত আল্লাহ এবং তার রাসুলের ওয়াজ নসিহতগুলো মানুষকে শোনাবে।
আওয়ার ইসলাম : আমরা জানি আপনি সারাদেশে ওয়াজ-মাহফিল করে থাকেন। বিশেষ করে তাফসির মাহফিলগুলোতে অাপনাকে দেখতে পাওয়া যায়। আমরা জানতে চাচ্ছি, আপনি ওয়াজের ময়দানে কাকে অনুসরণ করছেন? কে আপনাকে অনুপ্রাণিত করেছেন ?
মাওলানা নোমান হাবিবী: উৎসাহিত হওয়ার পেছনে আল্লাহ এবং আল্লাহর রাসুল সা. এর বাণীগুলোই প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। আল্লাহ তায়ালা দাওয়াতের কথা বলেছেন, রাসুল সা. তাবলিগের কথা বলেছেন আর ওলামায়ে কেরাম যেহেতু রাসুলের প্রতিনিধি সুতরাং এই দায়িত্ব সর্বপ্রথম ওলামায়ে কেরামের ওপর বর্তাবে।
আওয়ার ইসলাম : আপনার উস্তাদ কিংবা কোনো শায়েখের অনুপ্রেরণা এই বিষয়ের প্রতি আপনাকে বিশষভাবে আগ্রহী করে তুলেছে কি?
মাওলানা নোমান হাবিবী: আমার অনেক মুরুব্বি যারা অতিবাহিত হয়ে গেছেন এবং অনেকে বেঁচে আছেন এমন অনেককে দেখে আমি অনুপ্রাণিত হয়েছি। বলতে গেলে, খতিবে আজম আল্লামা হাবিবুর রহমান মেসবাহ রহ. এর নাম সর্বপ্রথমে বলা লাগে।
তার বলার ভঙ্গি, ভাষার সাবলীলতা বরাবর আমাকে মুগ্ধ করেছে। আরেকজন আমার উস্তাদ শাহ আহমদ শফী দা. বা.।
আমরা দেখেছি, হুজুর দরসের পাশাপাশি জাতির খেদমতে নিয়মিত মাহফিল করতেন। আমিও তাদের মতো হতে চেয়েছি , তাদের কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছি।
আওয়ার ইসলাম : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মাটির প্রতি আমার একটি ইতিবাচক ধারণা রয়েছে। এখানে যেসব ওলামায়ে কেরাম জন্মগ্রহণ করেছেন তারা জন্ম থেকেই অর্ধেক ওয়ায়েজ হয়ে জন্ম নিয়েছেন। কেন জানি মনে হয়, এই জেলার ওয়ায়েজের সংখ্যা বেশি। আপনাদের জেলার ধর্মীয় ঐতিহ্য সম্পর্কে কিছু যদি বলতেন...
মাওলানা নোমান হাবিবী: আমি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তান। আমাদের জেলায় ওয়ায়েজের সংখ্যা বেশি। আলহামদুল্লিাহ! এটা আল্লাহর মেহেরবাণী এবং আমরা অনেক গর্বিত-আমাদের জেলার ওলামায়ে কেরাম সারাদেশে এমনকি বহির্বিশ্বেও ওয়াজের ময়দানে সুনাম এবং খ্যাতি অর্জন করেছে।
আমি চাই, আমাদের পরবর্তী প্রজন্মও যেন এভাবেই আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার এই অর্জন ধরে রাখতে পারে। এই গৌরব যেন তারাও ধারন করতে পারে।
আওয়ার ইসলাম : সমাজ পরিবর্তনের যে ব্রত নিয়ে আপনারা ওয়াজের ময়দানে কাজ করছেন। আপনার কি মনে হয় যে ওয়াজের মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তন আসছে?
আপনার কাছে আমাদের প্রশ্ন থাকবে- ওয়াজের দ্বারা সমাজে কী রকম প্রভাব পড়ছে বলে মনে করেন?
মাওলানা নোমান হাবিবী: পরিবর্তন তো অবশ্যই হচ্ছে। তা যদি না-ই হতো তাহলে সমাজে যে হারে পাপাচার ছড়িয়ে পড়ছে তাতে করে আমাদের আরো অধ:পতন পরিলক্ষিত হত।
অনেকে বলে থাকেন, ওয়াজের কী দরকার আছে! আমি তাদের সবসময় বলি, এত ওয়াজ-মাহফিলের পরেও আমাদের সমাজের অবস্থা এমন শোচনীয় আর যদি ওয়াজ মাহফিল না থাকত তাহলে কী অবস্থা হত।
আলহামদুল্লিাহ! পরিবর্তন হচ্ছে এবং আরো পরিবর্তন হবে বলে আমি মনের করি। এ ক্ষেত্রে যদি আমরা নিষ্ঠার ও ইখলাসের সাথে কুরআন-হাদিসের সহিহ বাণী মানুষের দৌড়গোড়ায় পৌঁছে দিতে পারি তাহলে আরো পরিবর্তন সম্ভব।
আওয়ার ইসলাম : ওয়াজের আয়োজনের ক্ষেত্রে তিন শ্রেণীর মানুষের সম্মিলন ঘটে। আয়োজক, শ্রোতা ও বক্তা। এই তিন শ্রেণীর কেমন হওয়া উচিৎ? আয়োজকদের নিয়ত কেমন হওয়া দরকার?
বক্তার কেমন গুণাবলীর অধিকারী হওয়া দরকার এবং একজন শ্রোতার মানসিকতা কেমন হওয়া দরকার বলে অাপনি মনে করেন?
মাওলানা নোমান হাবিবী: আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উত্থাপন করেছেন। প্রথমেই আমি বক্তা সম্পর্কে বলব- তার কী কী গুণাবলী থাকা দরকার।
একজন বক্তার নবীওয়ালা সিফত থাকা আবশ্যক। কোনোরকম প্রতিদানের আশায় তিনি ওয়াজ করবেন না। টাকা নিয়ে দরকষাকষির ব্যাপারটা বক্তাদের পরিহার করতে হবে।
বক্তার কথা এবং কাজে মিল থাকতে হবে। কুরআন-হাদিসের সহিহ শুদ্ধ বাণী মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। জাল কথা এবং কুরআন হাদিসের বাইরের কথা কুরআন হাদিস বলে চালিয়ে দেওয়ার প্রবণতা বর্জন করতে হবে।
বিনয় এবং নিষ্ঠার সাথে একমাত্র মানুষের হেদায়াতের উদ্দেশে বক্তা ওয়াজ করবেন।
আওয়ার ইসলাম : ওয়াজের বিনিময় নিয়ে দর দরকষাকষির বিষয়ে আপনি বলছিলেন আসলে ওয়াজ করে একজন বক্তার কত টাকা নেওয়া উচিত বলে মনে করেন?
শরিয়তের দৃষ্টিতে ওয়াজের বিনিময়ে অর্থ গ্রহণ করা কতটুকু বৈধ?
মাওলানা নোমান হাবিবী: ফতোয়া দেওয়ার অধিকার আমার নেই। ফতোয়া দেবেন দারুল ইফতা কর্তৃপক্ষ।
তবে আমি বলব, ওলামায়ে কেরামকে সম্মান করে হাদিয়া হিসেবে কর্তৃপক্ষ যতটুকু দেবে তা গ্রহণ করাই শ্রেয়। এটাই ইজ্জতের বিষয়। কিন্তু চেয়ে নেওয়া বা চুক্তি করা ইজ্জতের বিষয় না।
আওয়ার ইসলাম : আহলে ইলম ওলামায়ে কেরাম এবং আকাবিরদের নিসবত থেকে যারা এ ময়দানে কাজ করছেন তারা চুক্তি করার বিষয়ে ভাবেন না।
আপনার সন্তানকে ভর্তি করুন ঢাকা আইডিয়াল ক্যাডেট মাদরাসায়
কিন্তু তথাকথিত কিছু ওয়ায়েজ চুক্তির মাধ্যমে নিজেকে উপস্থাপন করে ওলামায়ে কেরামের ব্যক্তিত্ব নষ্ট করছে তাদের ইজ্জত নষ্ট করছে। আপনি তাদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন?
মাওলানা নোমান হাবিবী: আমি মূলত কথাগুলো তাদের লক্ষ করেই বলছি- তাদের কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে, আপনার এমন হীন কাজ পরিত্যাগ করুন। দুই একজনের জন্যে গোটা আলেমসমাজ কলুষিত হবে এটা আমরা কখনো সহ্য করব না।
আওয়ার ইসলাম : একজন শ্রোতার মানসিকতা কেমন হওয়া দরকার বলে অাপনি মনে করেন? আয়োজকদের নিয়ত কেমন হওয়া দরকার?
মাওলানা নোমান হাবিবী: সর্বপ্রথমে আমি শ্রোতাদের উদ্দেশে বলব- আলোচকের আওয়াজ এবং সুর নয়, তার বক্তব্যের দিকে মনযোগী হওয়া চাই। বক্তা কী বলতে চাচ্ছেন, তা শোনার প্রতি আমি শ্রোতাদের অনুরোধ করব।
আয়োজকদের উদ্দেশ্যে বলব- তারা যেন ওলামায়ে কেরামকে সম্মানের সহিত তাদের দেওয়া ওয়াদাগুলো যথাযথভাবে পালন করেন। বিএশষ করে, সময় এবং বিষয়বস্তুর ক্ষেত্রে ওয়াদা ঠিক রাখেন। বক্তার কোনো ওজরে মাকুল থাকলে সেটা বোঝার চেষ্টা করেন।
আওয়ার ইসলাম : আমাদের দেশে সাধারণত গভীর রাত পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিলের প্রচলন রয়েছে। এতে করে বর্তমান সময়ে অনেক কথা জন্ম নিয়েছে। কেউ কেউ এভাবেও বলে থাকেন- রাতভর ওয়াজ শুনে, ফজরের নামাজ কাজা করছে শ্রোতার।
আমাদের সমাজের অনেক রাত পর্যন্ত ওয়াজ মাহফিল করার যে প্রবণতা সেখান থেকে কিভাবে উত্তরণ সম্ভব বলে মনে করেন?
আমরা বড়দের বেলায় দেখেছি, তারা অনেক রাত পর্যন্ত মাহফিল করতেন না। আমার মুর্শিদ হযরত হাকিম আখতার রহ. বলতেন- তোমারা গভীর রাত পর্যন্ত মাহফিল করবে না।
আমি মনে করি, গভীর রাত পর্যন্ত মাহফিল করার যে প্রবণতা আমাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে, এখান থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসতে হবে। রাতের একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ নির্ধারণ করতে হবে।
আমি মনে করি, সর্বোচ্চ রাত ১১ টা পর্যন্ত মাহফিল চললে মানুষ স্বস্তিবোধ করবে। এর আগে যদি শেষ করা সম্ভব হয় তাহলে অারো ভালো হবে বলে মনে করি।
এশার পর সর্বোচ্চ দুইজন আলোচক থাকলে এই সমস্যা থেকে উত্তোরণ সম্ভব।
আওয়ার ইসলাম : আমরা একটু ভিন্ন প্রসঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি, তা হলো- মাহফিলের পোস্টারে নাম এবং উপাধি ব্যবহার করা নিয়ে বর্তমানে প্রতিযোগিতা চলছে। সিনিয়র-জুনিয়র মেইন্টেন করা হচ্ছে না।
যে কারো নামের শুরুতে আল্লামা ও শাইখুল হাদিস শব্দের ব্যবহার পরিলক্ষিত হচ্ছে। এক কথায়- মাহফিলের আয়োজকরা শ্রোতা বাড়ানোর জন্য বক্তাদের বাড়িয়ে বাড়িয়ে মার্কেটিং করছে, যা অনেক সময় আমাদের আলেম সমাজকে বিব্রত করছে।
এ বিষয়গুলোকে আপনি কিভাবে দেখেন এবং কী করা উচিৎ বলে মনে করেন?
মাওলানা নোমান হাবিবী: আল্লাহর রাসুল সা. বলেছেন, মানুষকে তার স্থান অনুযায়ী সম্মান প্রদর্শন করতে। অর্থাৎ যে ব্যক্তি যতটুকু সম্মানের অধিকারী তাকে ততটুকু সম্মান দেওয়া।
উপাধি ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের এ কথা লক্ষ্য রাখতে হবে। যার নামের শুরুতে যে উপাধি ব্যবহার মানানসই তাকে সে উপাধিই দিতে হবে বলে মনে করি। এর বাড়তি লেখা অনুচিত।
[আরও পড়ুন: ‘আল্লামা’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে বিভ্রান্তি]
আওয়ার ইসলাম : আপনার ওয়াজের জীবনের অযাচিত কোনো মুহূর্ত আছে, যেটা আপনাকে বারবার কষ্ট দেয়? কিংবা আনন্দঘন কোনো মুহূর্ত?
ওয়াজের জীবনে বারবার কষ্ট পেয়েছি- আয়োজকরা যখন কথা দিয়ে কথা রাখেনি। যখন তাদের কথা এবং কাজে কোনো মিল পাইনি।
আর আনন্দঘন মুহূর্ত বলতে, আমি যখন ওয়াজের ময়দানে নতুন তখন একবার আমার স্টেজে বড় হুজুর রহ. বসা ছিলেন। ওই মুহূর্তটা আমাকে এখনও আন্দোলিত করে।
আওয়ার ইসলাম : বড় হুজুর রহ. নাম যেহেতু এসেছে, আমরা তার সম্পর্কে অাপনার কাছে কিছু জানতে চাচ্ছি।
মাওলানা নোমান হাবিবী: বড় হুজুর রহ. একজন আদর্শ শিক্ষক ছিলেন এবং জবরদস্ত একজন আল্লাহওয়ালা ছিলেন।
তিনি এমনভাবে দরস দিতেন যার দরস সবার কাছে প্রিয় ছিল। একজন মেধাবী থেকে শুরু করে গড়পড়তা মাথার ছাত্রও তার দরস বুঝতেন। সব ছাত্র তাকে খুব মুহাব্বাত করতেন।
তিনি একজন আদর্শবান, একজন নীতিবান ব্যক্তি ছিলেন, যিনি কখনো কোনো অন্যায়ের সামনে মাথা অবনত করেননি।
যখন তিনি আদর্শিক কোনো বিষয়ে ডাক দিতেন আলেম ওলামা ধর্মপ্রাণ মুসল্লিগণ তার ডাকে সাড়া দিয়ে রাস্তায় নেমে আসতেন।
আওয়ার ইসলাম : একজন যুগ সচেতন আলেম হিসেবে বর্তমান আধুনিক যুগে মিডিয়ার গুরুত্ব কতটুকু বলে আপনি মনে করেন?
মাওলানা নোমান হাবিবী: বাংলাদেমের প্রেক্ষাপটে মিডিয়ার অনেক বেশি প্রয়োজন রয়েছে। অন্যান্য দেশ প্রযুক্তির দিক দিয়ে যতদূর অগ্রসর হয়েছে কিন্তু আমরা অনেক পিছিয়ে আছি।
আমরা আলেম-ওলামা মিডিয়ার গুরুত্ব ইতোপূর্বে না বুঝলেও আলহামদুলিল্লাহ! বর্তমান নবীন এবং প্রবীন সব শ্রেণির আলেম ওলামা মিডিয়াকে গুরুত্ব দিচ্ছেন।
আওয়ার ইসলাম : আমরা আওয়ার ইসলাম টোয়েন্টিফোর ডটকম অল্প কিছুদিন ধরে আলেম-ওলামাদের তত্ত্বাবধায়নে ইসলাম, সমাজ এবং দেশের মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
বিশেষ করে ইসলাম কেন্দ্রিক খবরাখবর প্রকাশের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। আওয়ার ইসলাম সম্পর্কে আপনার অভিমত কী?
মাওলানা নোমান হাবিবী: আওয়ার ইসলামের কাজ আমার কাছে অনেক পছন্দনীয় একটি খেতমত। আমি তাদের কাছে আশা রাখব শত প্রতিকূলতা এবং বাধা সত্ত্বেও তারা যেন তাদের খেদমতকে ইসলামের জন্য অব্যাহত রাখেন।
আওয়ার ইসলাম : আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
মাওলানা নোমান হাবিবী: আপনাদেরও ধন্যবাদ।
আরও পড়ুন: ‘শিক্ষার্থীদের কাছে স্মার্টফোন থাকা অনুচিত: দেওবন্দের শায়খ কমরুদ্দীন