আওয়ার ইসলাম: ভারতে ক্ষমতাসীন বিজেপি’র সিনিয়র নেতা রমাকান্ত যাদব হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, সময় থাকতে সতর্ক না হলে বিজেপি ২০১৯ সালেও শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবে।
ভারতে বিজেপিশাসিত উত্তর প্রদেশে দু’টি লোকসভা আসনে বিজেপি চরমভাবে পরাজিত হওয়ার পর রমাকান্ত ওই মন্তব্য করেছেন। গতকাল (বুধবার) উপনির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়েছে।
রমাকান্ত বাবু উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সমালোচনা করে বলেছেন, ‘তিন মাস আগেই বলেছিলাম, অনগ্রসর-দলিতরা বিজেপিকে উত্তর প্রদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়েছে। কিন্তু যেভাবে বাড়ি তৈরি করার সময় সাটারিং করা হয় এবং ব্যবহার করার পরে তাকে ছুঁড়ে ফেলে দেয়া হয় সেভাবে সরকার তৈরির পরে অনগ্রসর ও দলিতদের ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে।
আমি বলেছিলাম দলিত ও অনগ্রসরদের উপেক্ষা করা হলে ২০১৯ সালে (সাধারণ নির্বাচন)-এর ফল ভোগ করতে হবে। কিন্তু মাত্র তিন মাসের মধ্যেই তা প্রকাশ্যে এসেছে। এটা দলিত ও অনগ্রসরদের অধিকার না দেয়া, তাদের উপেক্ষা করা, হয়রানি করা এবং তাদের অধিকারকে উপেক্ষা করার ফল। এখনো সময় আছে, বিজেপি যদি ওদেরকে সঙ্গে নিয়ে না চলে তাহলে ২০১৯ সালে এর ফল ভোগ করতে হবে।’
রমাকান্ত যাদব বলেন, ‘আমি মনে করেছিলাম যোগীজি মুখ্যমন্ত্রী হলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলবেন। কিন্তু তিনি খুব বাজে কাজ করেছেন। উনি কেবল একটি সম্প্রদায়ের মানুষের সঙ্গে নিয়ে চলেছেন এবং বিশেষ বর্ণের মানুষদের উৎসাহিত করেছেন, এতে গোটা রাজ্যে ভুল বার্তা গেছে। একইভাবে পুজোপাঠ করা ব্যক্তি কীভাবে সরকার চালাতে জানবেন, যোগীদের মতো লোকেরা সকলকে সঙ্গে নিয়ে চলতে পারেন না।’
অন্যদিকে, বিজেপি’র সিনিয়র নেতা ও দলীয় এমপি সুব্রমনিয়াম স্বামী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উত্থাপন করে বলেছেন, যেসকল নেতারা নিজের আসনে নির্বাচন জিততে পারেন না, এ ধরণের নেতাদের বড় পদে বসানো মানে গণতন্ত্রে আত্মহত্যা করার মতো বিষয়।
উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুরে বিজেপি ৩০ বছরের মধ্যে কোনোদিন পরাজিত হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ গোরক্ষপুরের এমপি ছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর ওই আসনটি শূন্য হয়। তিনি গোরক্ষপুর মঠের প্রধান মোহন্তও বটে। কিন্তু গোরক্ষপুর লোকসভা আসন কেবল বিজেপি’র হাতছাড়া হয়েছে তাই নয়, ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত গোরক্ষপুর শহর কেন্দ্রটি ছাড়া বাকি চার বিধানসভা কেন্দ্রেই বিজেপি প্রার্থী হেরে গেছেন।
এইচজে