হাওলাদার জহিরুল ইসলাম: আজ বুধবার সকালে যুক্তরাজ্যের ক্যামব্রিজে মারা গেছেন বিশ্বের খ্যাতিমান পদার্থবিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। এক বিবৃতিতে এমনটিই জানিয়েছে তার পরিবার।
কিন্তু আসল হকিং ১৯৮৫ সালেই মারা গেছেন বলের দাবি করে আসছিলেন এক দল মানুষ। তাদের মতে, হকিংয়ের মতো দেখতে একজনকে দেখিয়ে বলা হচ্ছে তিনি বেঁচে আছেন।
জানা যায়, ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর থিওরিটিক্যাল কসমোলজির পরিচালক স্টিফেন হকিংকে নিয়ে এমন চাঞ্চল্যকর দাবি ছিল একদল ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদের।
চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি বহু সম্মানে সম্মানিত এই বিজ্ঞানীর ৭৬তম জন্মদিন পালিত হয়। এর মধ্যে দাবি করা হয় আসল স্টিফেন হকিং মারা গেছেন ৩৩ বছর আগেই।
ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদরা যদিও জানিয়েছিলেন, নিজেদের দাবি প্রমাণ করতে তারা কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। স্টিফেন হকিংয়ের ছবি, গলার স্বর পরীক্ষা করে দেখছেন তারা।
কিন্তু ৭৬তম জন্মদিনের দুই মাস পর পৃথিবী ছেড়ে চলে গেলেন স্টিফেন হকিং। এখন আর কারও পক্ষেই বলা সম্ভব নয় যে হকিং বেঁচে আছেন।
মজার ব্যাপার হল, হকিংয়ের মৃত্যু নিয়ে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব প্রকাশের পর অনেকেই তা বিশ্বাস করে বসেছিলেন।
সন্দেহবশত অনেকে প্রশ্ন করে বসছিলেন- সত্যিই যদি হকিংয়ের মৃত্যু হয়, তবে এখন আমরা যাকে দেখছি তিনি আসলে কে?
এর জবাব দিতেও পিছপা হন ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদরা। তাদের মতে, যাকে স্টিফেন হকিং বলে চালানো হচ্ছে, তিনি হকিংয়ের মতোই দেখতে একজন। কিন্তু তিনি আসলে ‘পাপেট গবেষক’ এবং প্রকৃত স্টিফেন হকিংয়ের মতোই পদার্থবিজ্ঞানে দক্ষ।
ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদদের ভাষ্য মতে, স্টিফেন হকিং ১৯৮৫ সালেই মারা যান। ওই সময় তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তখনই চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ করে দেন এবং হকিং মারা যান।
রাজনীতিবিদ ও বিজ্ঞানীরা বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য স্টিফেনের মতো দেখতে অন্য একজনকে আসল বিজ্ঞানীর জায়গায় বসিয়ে রেখেছিল বলে দাবি ষড়যন্ত্র তত্ত্ববিদদের। কিন্তু তাদের দাবির পক্ষে জোরালো কোন ডকুমেন্ট না থাকায় বিষয়টির ধোয়াশা কাটছেই না।