আবদুল্লাহ আল মাশরাফী: শিক্ষাবিদ আলেমে দীন, লেখক, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও গবেষক মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভী বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিংয়ের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেনছেন। পাশাপাশি তিনি আফসোস করেছেন তার ঈমানহারা হয়ে মৃত্যুর কারণে।
তিনি বলেন, বিশ্বের সেরা পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং (৭৬) মারা গেছেন। খুব কষ্ট পেয়েছি। তার মৃত্যুর জন্য যতো না তার চেয়ে কোটিগুণ কষ্ট পেয়েছি তার ঈমান হারা হয়ে মৃত্যুর জন্য।
তিনি বিশ্বাস করতেন আল্লাহ বলতে কেউ নেই। তিনি বলতেন, পৃথিবী বেশিদিন টিকবে না, তাই মানুষের উচিত অন্য কোনো গ্রহে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাওয়া।
তিনি বলতেন, আমাদের পৃথিবীর উপরে স্থান, কাল, পাত্র বলতে কিছু নেই। চারদিকে শুধু শূন্যতা। এক মহা দূর্ঘটনায় সৃষ্টি জগত তৈরি হয়েছে।
একজন নগন্য দাওয়াত কর্মী হিসাবে আমি উবায়দুর রহমান খান নদভীর আফসোস এখানেই, তিনি সব কিছুর স্রষ্টা ও নির্মাতাকে বিশ্বাস করতেন। করতেন না শুধু তার নিজের স্রষ্টা ও বিধাতাকে। মহা জগতের স্রষ্টা কে।
এ কত বড় গোমরাহি। যদি তিনি মনোযোগ দিয়ে কুরআন পড়তেন, তাহলে বুঝতেন আসলেই পৃথিবী থাকবে না। মানুষকে অন্য গ্রহে যেহে হবে না। আল্লাহই তাদের পরলোকে নিয়ে অমরত্ব দিয়ে রাখবেন। বিশ্বাসীরা শান্তিতে থাকবে। নাস্তিক বেঈমানরা চরম কষ্টে।
আসলেই আল্লাহর নিজস্ব জগতে স্থান কাল পাত্র নেই। যাকে আমরা বলি ‘লা মাকান’। শুরুতে আল্লাহর ‘কুন-ফায়াকুন’ বা ‘আমর’ কে তিনি বলেছেন ‘বিগ ব্যাং’ বা মহা দূর্ঘটনা।
আপনার কপিটি আজই নিশ্চিত করুন
শত আফসোস, পদার্থের বই পত্রের পাশাপাশি এ মেধাবী মানুষটি যদি একজন বড় আল্লাহ ওয়ালার কাছে কুরআন সুন্নাহও পড়তেন তাহলে তাকে ঈমানহীন অবস্থায় আল্লাহর সামনে হাজির হতে হতো না। তাকে তো আর পাবো না।
তার কোটি কোটি ভক্তের প্রতি আমার বিনীত নিবেদন, আপনারা আল্লাহকে বিশ্বাস করুন, তার রাসুলকে বিশ্বাস করুন। কুরআন ও সুন্নাহ পড়ুন। জ্ঞানের অসীম জগতের সাথে জীবনের সব জিজ্ঞাসার জবাবও পেয়ে যাবেন।
আরআর
আরও পড়ুন: যে সব কারণে স্টিফেন হকিং আলোচিত বিশ্বজুড়ে