আওয়ার ইসলাম: বাসার সামনে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল দীর্ঘ ১১ দিন চিকিৎসা শেষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবি)ক্যাম্পাসে ফিরেছেন শিক্ষাবিদ ও জনপ্রিয় লেখক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল।
নি বলেন, ‘আমি কখনও ভয় পাই না। এখনও পাচ্ছি না। মুক্তমঞ্চে দাঁড়িয়ে আমি আবারও কথা বলবো।’ বুধবার (১৪ মার্চ) দুপুর দেড়টায় ক্যাম্পাসে বাসার সামনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার স্ত্রী ড. ইয়াসমিন হকসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক জাফর ইকবাল বলেন, ‘আমি মৃত্যুর খুব কাছ থেকে ফিরে এসেছি। তাই কারও প্রতি আমার কোনও ক্ষোভ নেই।’ তিনি বলেন, ‘আমি জানতাম না দেশের মানুষ আমাকে এত ভালোবাসে। এ আঘাত না পেলে বিষয়টি আমার অজানা থাকতো।’ এ সময় পাশে থাকার জন্য সহকর্মী ও সাংবাদিকদের ধন্যবাদ জানান জাফর ইকবাল।
এর আগে বেলা ১২টা ৪৫ মিনিটে নভো-এয়ারের একটি ফ্লাইটে ঢাকা থেকে সিলেট এমএজি ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল। পরে ১২টা ৫৮ মিনিটে ভিআইপি গ্রাউন্ড দিয়ে বের হয়ে সহকর্মী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এ সময় তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াস উদ্দিন বিশ্বাসসহ তার সহকর্মী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন স্তরের মানুষ স্বাগত জানান।
এদিকে, বিকাল ৪টায় আবারও তিনি হামলার স্থান মুক্তমঞ্চে দাঁড়িয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে কথা বলবেন।
তার আগমন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের ভেতরে কঠোর নিরপত্তা এবং বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, নিরাপত্তা আগের চেয়ে জোরদার করা হয়েছে। অফিস, বাসা, এমনকি তিনি যেখানে যাবেন পুলিশ সঙ্গে থাকবে। ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদারে ৫১ জন পুলিশ নিয়োজিত রয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি অনুষ্ঠান চলাকালে ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালায় ফয়জুল হাসান নামে এক তরুণ।
তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে এয়ারঅ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকা সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়।