সৈয়দ আনোয়ার আবদুল্লাহ
পুলিশ জনগণের বন্ধু কিংবা পুলিশই জনতা-জনতাই পুলিশ, এ শ্লোগান ধারণ করে পুলিশ কাজ করলেও বাস্তবে যেটা দেখা যায় তা হল, বাংলাদেশের অধিকাংশ থানা এড়িয়া কিংবা পুলিশ অফিসারের কক্ষ সাধারণ জনগণের জন্য আতংকের নাম।
সহজে নিপীড়িত মানুষ বা ফরিয়াদী জনগণ তাদের কক্ষে প্রবেশের সাহস পান না। এজন্য থানা বা পুলিশ কার্যালয়ের আশেপাশে দালালদের আনাগোনা লক্ষ করা যায়।
দালালদের মাধমেই জনতা পুলিশের দরবারে হাজিরা দেন এটা অঘোষিত একটি নিয়মে পরিণত হয়েছে অনেকক্ষেত্রেই। ফলে পুলিশের কাছ থেকে জনগন যে কাঙ্ক্ষিত সেবা পাবার কথা তা পেতে কষ্ট হয়। তবে ব্যতিক্রম যে নয়, তা কিন্তু নয়। এক্ষেত্র এমনি একজন ব্যতিক্রমি পুলিশ অফিসার হলেন পারভেজ আলম চৌধুরী।
(ছবিটি বাহুবল মডেল থানার সহকারি পুলিশ সুপারের কার্যালয় থেকে তোলা। তুলেছেন হুমায়ূন কবির)
বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলের দায়িত্বে সদ্য যোগদানকৃত সহকারি পুলিশ সুপার পারভেজ অালম চৌধুরীর ব্যক্তিগত উদ্যোগে অফিস কক্ষের সামনে নাম ফলকের পাশে একটি কাগজ লাগানো। লিফলেটের লেখাটি হলো- ‘এই অফিস কক্ষে প্রবেশের জন্য অনুমতির প্রয়োজন নাই’।
অনেকেই তার এই ব্যতিক্রমী আমন্ত্রনকে স্বাগত জানিয়ে ধন্যবাদ দিয়েছেন। সচেতন জনগণ মনে করছেন, এর দ্বারা পুলিশের প্রতি জনগণের অযাচিত ভয় দূর হবে এবং জনগণ দালালের মাধ্যম ছাড়াই প্রাণখুলে পুলিশ অফিসারের কাছে তার সমস্যা বলতে সাহসী হবেন।
এএসপি পারবেজ চৌধুরীর এই ব্যতিক্রমি আমন্ত্রণ সত্যিকারের পুলিশই জনগণের বন্ধু এ স্লোগানকে আরো কার্যকর করবে বলে অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন।
এ ব্যাপারে দৈনিক যায়যায় দিনের বাহুবল প্রতিনিধি হুমায়ূন কবির তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেন, আমি ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে জনগণের প্রতি তার এই ভালবাসা দেখে মুগ্ধ, তাকে ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই। অাশা করি বাহুবলের সাধারণ মানুষ উনার কাছ থেকে ন্যায় বিচার পাবেন।
উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল-নবীগঞ্জ সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যোগদান করেছেন পারভেজ আলম চৌধুরী।
গত বুধবার (৭ মার্চ) সন্ধ্যায় বাহুবল থানা সার্কেল অফিসে যোগদান করেন। তিনি সিলেট জেলার জৈন্তাপুর থানার জাফলং এর বাসিন্দা। এর আগে তিনি আখাউড়া রেলওয়ে সার্কেলে সহকারী পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আরও পড়ুন: ইসলাম গ্রহণ করলেন তারাকান্দা থানার এসআই বিপ্লব মহন্ত