আওয়ার ইসলাম: বর্তমানে নেপালে বাংলাদেশের ইউএস বাংলার প্লেন বিধ্বস্ত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। পুরো বিশ্বের বিভিন্ন গণমাধ্যম খুব গুরুত্বসহকারে খবরটি প্রকাশ করছে।
প্রতি মুহূর্তের সর্বশেষ খবর প্রকাশ করছে। অথচ নেপালে এমন বিমান দুর্ঘটনা এই প্রথম নয়। বিগত ৭ বছরে ১৫টি ছোট-বড় বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটেছে নেপালে।
নেপালের জরিপ সংস্থা নেপাল ইন ডাটা অনুযায়ী, ২০১০ সাল থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এসব প্লেন ক্রাশের ঘটনায় মোট ১৩৪ জন যাত্রী নিহত হয়েছেন। ওই ৭ বছরের প্রতিবছর কমপক্ষে একটি করে বিমান দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
এর মধ্যে ২০১৭ সালে ২ জন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। ২০১৬ সালে ২৪ফেব্রুয়ারি প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে ২৩ জন যাত্রী এবং ক্রু নিয়ে একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ২৩ জন যাত্রীর মধ্যে দুই জন শিশু, একজন চীন এবং কুয়েতি নাগরিক ছিলেন।
প্রায় ১ ঘণ্টার খোঁজাখোজির পর নেপালের রূপসী অঞ্চলের পাহাড়ি এলাকায় বিমানটির ধ্বংসস্তূপ উদ্ধার করা হয়। একই মাসের ২৬ ফেব্রুয়ারি নেপালের পাহাড়ে কাস্টামান্ডাপ এয়ালইন্সের একটি বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। নেপালের রাজধানী কাঠমুন্ডু থেকে প্রায় ২৫০ মাইল দূরে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে।
বিমানের পাইলট জরুরি অবতরণে ব্যর্থ হলে পাহাড়ের চূড়ায় একটি জমিতে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। এ ঘটনায় এক জন নিহত হয়।
২০১৫ সালে কাঠমুন্ডু বিমান বন্দরে ঘন কুয়াশার কারণে একটি বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে। এ দুর্ঘটনায় যাত্রীদের বড় ধরনের হতাহতের কোনো ঘটনা না ঘটলেও তিনজন সামান্য আঘাত পায়। ২০১৪ ফেব্রুয়ারি পূর্ব নেপালে বিমান দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে যেখানে ১৮ জন নিহত হয়।
২০১২ সালে কিছু ব্রিটিশ পর্যটকেরা এভারেস্টে ট্র্যাকিংয়ের উদ্দেশ্যে নেপালে আসার সময় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। যেখানে ১৯ জন্য যাত্রী এবং ক্রু নিহত হয়। ২০১০ সালে ৩৬ জন, ২০১১ সালে ১৯ জন।
উল্লেখ্য, নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভূবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত বাংলাদেশের বেসরকারি বিমানসংস্থা ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ৫০ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। সোমবার নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে ৪ ক্রুসহ ৬৭ আরোহীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।