আওয়ার ইসলাম: আঁখিমনি মাস্টার্স পাশ করেছিলেন। পরিবারের সম্মতিতেই গত ৩ মার্চ বেশ ধুম-ধাম আয়োজনের মধ্যে দিয়ে তার বিয়ে হয়। বর আমেরিকা প্রবাসী মেহেদী হাসান।
বিয়েতে হাতে লাগানো মেহেদির রঙ শুকায়নি আঁখিমনির। বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে চলে আসেন ঢাকার ধানমন্ডির একটি নতুন ফ্ল্যাটে। সেখানে সংসারটাও ঠিকমতো গোছানো হয়নি। এরইমধ্যে আঁখিমনিকে পৃথিবীর মায়া ছাড়তে হয়েছে।
আঁখিমনির ইচ্ছে অনুযায়ী হিমালয়কন্যার দেশ নেপালে যাওয়ার জন্য গত সপ্তাহে টিকিট বুকিং দেয়া হয়। পরিবারের লোকজন সোমবার সকাল ১১টায় তাদের এয়ারপোর্টে পৌঁছে দিয়ে আসে। একইদিন দুপুরে কাঠমুন্ডুতে বিধ্বস্ত ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের বিমানে স্বামীর পাশেই ছিলেন আঁখিমনি।
নেপাল সরকারের দেয়া মৃতদের তালিকার ৩৭ ও ৩৮ নাম্বার সিরিয়ালে রয়েছে আঁখিমনি ও তার স্বামী মেহেদীর নাম। এমন দুর্ঘটনায় আঁখিমনির বাবা-মা মেয়ের শোকে পাগলপ্রায়। যাওয়ার সময় কী এক অজানা আশঙ্কায় আঁখিমনি বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদেছিল। সেই অজানা আশঙ্কায়ই যেন এখন সত্যি হল!
মেয়ের টানে মঙ্গলবার সকালে নেপালের উদ্দেশ্যে দেশ ছেড়েছেন আঁখিমনির বাবা। নবদম্পত্তির রুহের শান্তির জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে আঁখিমনির পরিবার।
আঁখিমনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রুপসদী গ্রামের পেশকার মিয়ার মেয়ে। আঁখিমনির স্বামী মেহেদীর বাড়ি কুমিল্লার হোমনা উপজেলার বাতাকান্দি গ্রামে।