আওয়ার ইসলাম: মিয়ানমারে জাতিগত নিধনের শিকার হয়ে আশ্রয়ের জন্য বাংলাদেশে ঢুকছে রোহিঙ্গা মুসলিমরা। অন্যদিকে বান্দরবানসহ পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকা থেকে খ্রিস্টান ও বৌদ্ধসহ নানা ধর্মাবলম্বীদের রাখাইনে নিয়ে যাচ্ছে মিয়ানমারের দালাল চক্র। নানা প্রচেষ্টার পরেও মানব পাচারকারী চক্রকে বন্ধ করতে পাড়ছে স্থানীয় প্রশাসন।
তিমাত্রি ইউনিয়নের উষাধোয়া পাড়া থেকে পাহাড়ি পথ পাড়ি দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে পাড়ি জমাচ্ছে মারমা সম্প্রদায়ের মানুষেরা। চেঞ্জিআগা পাড়া থেকে তাদের যেতে হবে সীমান্ত ঘেষা শহর মংড়ুতে।
স্থানীয়রা বলছেন চলতি মাসে কেবল উষাধোয়া পাড়া থেকেই ৯টি পরিবার পাড়ি জমিয়েছে মিয়ানমারে। আর গেল কয়েক বছরে বান্দরবানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির শতাধিক পরিবারকে রাখাইনসহ বিভিন্ন রাজ্যে নিয়ে গেছে দালালচক্র। নানা প্ররুচনার ফাঁদে ফেলছে দালালচক্র।
চেঞ্জিআগাপাড়া ছাড়াও সীমান্তের অরক্ষিত বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে কম-বেশি প্রতিদিনই মিয়ানমারে নেওয়া হচ্ছে বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের। নানা উদ্যোগ নিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না এই মানব পাচার।
রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মুই সুই থুই বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যতটুকু সুযোগসুবিধা দেবার দরকার তা দেওয়া হচ্ছে।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলছেন মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপরে জাতিগত নিধনের পর সীমানের মানব পাচার বেড়েছে।
সূত্র : যমুনা টিভি