আওয়ার ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ থেকে রেক্স টিলারসনকে সরিয়ে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
মঙ্গলবার তিনি টিলারসনের জায়গায় সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেওকে পররাষ্ট্র দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়ার কথা জানিয়েছেন। আর যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছেন গিনা হ্যাসপেলকে, যিনি ট্রাম্প আমলেই সংস্থার উপ-পরিচালক হয়েছিলেন।
এক টুইটে ট্রাম্প লিখেছেন, “সিআইএ পরিচালক মাইক পম্পেও আমাদের নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হবেন। তিনি চমৎকার কাজ করবেন! রেক্স টিলারসন যে কাজ করেছেন তার জন্য তাকে ধন্যবাদ! গিনা হ্যাসপেল হবেন সিআইএর নতুন ডিরেক্টর এবং এই পদে তিনিই হচ্ছেন প্রথম নারী। সবাইকে অভিনন্দন!”
ট্রাম্প ঘনিষ্ঠদের বরাত দিয়ে সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টিলারসনের প্রেসিডেন্টকে সমর্থন না করার বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে উঠেছিল। তিনি প্রেসিডেন্টের পরামর্শ ছাড়া নিজেই তার মতো করে পররাষ্ট্র বিষয়ক সিদ্ধান্ত নিতে চাইছিলেন। টিলারসন তাকে সমর্থন করছেন না বলে ট্রাম্পও উপলব্ধি করছিলেন।
মাইক পম্পেও টিলারসন ট্রাম্পকে ‘মূঢ়’ বলেছেন বলে গত অক্টোবরে এনবিসির এক খবরে প্রকাশ হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় টিলারসনকে ‘আইকিউ টেস্টে’ অংশ নেওয়ার চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।
রাশিয়া, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতভিন্নতা থাকা টিলারসনের ওপর এই ঘটনা নিয়েই ট্রাম্পের ক্ষোভ তীব্র হয় বলে হোয়াইট হাউজ কর্মকর্তারা মনে করেন।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, টিলারসনের বিদায়ই ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বড় পরিবর্তন এবং এর মধ্য দিয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এক্সন মোবিলের সাবেক প্রধান নির্বাহীর কয়েক মাসের উত্তেজনার নিরসন ঘটল।
হোয়াইট হাউজের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবারই টিলারসনকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন ট্রাম্প।
তবে টিলারসন পদত্যাগ করতে চাইছিলেন না বলে পররাষ্ট্র দপ্তরের আন্ডার সেক্রেটারি স্টিভ গোল্ডস্টেইন জানিয়েছেন।
এরমধ্যে টিলারসনের সঙ্গে আলোচনা না করেই উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে আলোচনায় বসতে সম্মতি জানিয়েছেন ট্রাম্প।
“ওই সিদ্ধান্ত আমি নিজেই নিয়েছি,” পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদলের ঘোষণার পর সাংবাদিকদের বলেছেন তিনি। পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে কয়েক দশক ধরে পশ্চিমাদের সঙ্গে দ্বন্দ্বে থাকা উত্তর কোরিয়ার নেতার সঙ্গে এটাই হবে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো প্রেসিডেন্টের প্রথম সাক্ষাৎ।