রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ ।। ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের বিকল্প নেই: তারেক রহমান জমিয়তের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হলেন শায়খ মাওলানা আবদুর রহীম ইসলামাবাদী কুমিল্লায় আন্তর্জাতিক ইসলামী মহাসম্মেলন আগামীকাল মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরীর ইন্তেকালে চরমোনাই পীরের শোক প্রকাশ জমিয়ত সভাপতি মাওলানা মনসুরুল হাসান রায়পুরী রহ.-এর বর্ণাঢ্য জীবন কওমি সনদকে কার্যকরী করতে ছাত্রদল ভূমিকা রাখবে: নাছির বড় ব্যবধানে জিতে প্রথমবারের মতো পার্লামেন্টে যাচ্ছেন প্রিয়াঙ্কা আইফোনে ‘টাইপ টু সিরি’ ফিচার যেভাবে ব্যবহার করবেন  স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের দাবি অত্যন্ত যৌক্তিক: ধর্ম উপদেষ্টা আল্লাহকে পেতে হলে রাসূলের অনুসরণ অপরিহার্য: কবি রুহুল আমিন খান

চীনের মুসলমানদের ‘চীনা রীতিতে’ ইসলাম পালনের আহ্বান

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: চীনের মুসলমানদের বিদেশি সংস্কৃতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে বরং চীনা সংস্কৃতি মেনে ধর্ম পালনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

‘চায়না ইসলামিক এসোসিয়েশনের’ প্রধান ইয়াং ফেমিং এই আহ্বান জানিয়েছেন। মসজিদ নির্মানে বিদেশি স্থাপত্যরীতি অনুসরণ করা, হালাল-হারাম নিয়ে বাড়াবাড়ি করা, রাষ্ট্রের আইনের চেয়ে ধর্মীয় রীতিকে প্রাধান্য দেওয়া ও ধর্মনিরপেক্ষ জীবনযাপনে বাধা দেওয়ার মতো বিষয়গুলো তার নজরে পড়েছে। তিনি মনে করেন এসব বিষয়ে সতর্ক থাকা দরকার।

চীনে সংসদ ও সংসদের উপদেষ্টা কমিটির বার্ষিক সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে শনিবার চীন সংসদের উপদেষ্টা কমিটির সামনে বক্তব্য রেখেছেন সরকার সমর্থিত ‘চায়না ইসলামিক এসোসিয়েশনের’ প্রধান ইয়াং ফেমিং।

ইসলাম চর্চায় বিদেশি প্রভাবমুক্ত থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি আরও বলেছেন, চীনে ইসলামের সুদীর্ঘ ও গৌরবজনক ইতিহাস রয়েছে। চীনের ইসলামকে আরও বেশি চীনা হয়ে উঠতে হবে।

সিনহুয়ার বরাতে তার ভাষণের যে অনুলিপি পাওয়া গেছে সেখান থেকে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে হয়ে যাওয়া ধর্ম সংশ্লিষ্ট কিছু বিষয়কে আর অগ্রাহ্য করার মতো মনে করছেন না তিনি।

এ বিষয়ে রয়টার্স তাদের প্রতিবেদনে ফেমিংয়ের দেওয়া বক্তব্য উদ্ধৃত করেছে, ‘মসজিদের কথাই ধরা যাক। মসজিদ ভবনগুলোর নকশায় অন্ধভাবে বিদেশি নকশার অনুকরণ করা হচ্ছে।

কিছু কিছু স্থানে হালাল-হারামের বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে পালন করা শুরু হয়েছে এবং ধর্মনিরপেক্ষ জীবন যাপনে ধর্মীয় বাধা দেওয়া শুরু হয়েছে। কেউ কেউ আছে যারা ধর্মীয় বিধিবিধানের ওপর অনেক গুরত্ব দেয় কিন্তু দেশের আইনের খুব একটা পরোয়া করে না।

ধর্মীয় বিধি জানলে শুধু ধার্মিক হওয়া যায় কিন্তু দেশে আইন না জানলে নাগরিক হওয়া যায় না। আমাদের অবশ্যই অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে।’ ইয়াং ফামিং তারা দেওয়া বক্তব্যে আরও বলেছেন, চীনে ইসলামকে আরও বেশি চীনা হয়ে উঠতে হবে, সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধের দ্বারা চালিত হতে হবে এবং মৌলবাদের বিরোধিতা করতে হবে। ধর্মীয় রীতি, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ভবনের স্থাপত্যশৈলীকে আর বেশি চীনা সংস্কৃতির অনুগামী হয়ে উঠতে হবে।

চীনে প্রায় ২ কোটি মুসলমানের বাস, যাদের একটি বড় অংশ দেশটির পশ্চিম দিকে বাস করে। চিনের মুসলমানদের ভেতর রয়েছে তুর্কিভাষী ইউঘুর থেকে শুরু করে চীনা সংস্কৃতির অনুগামী চীনাভাষী হুই সম্প্রদায়। চীন সরকারিভাবে ধর্মীয় স্বাধীনতা দেওয়ার কথা বললেও জঙ্গিবাদ ও মৌলবাদ ছড়িয়ে পড়ায়ে আশঙ্কায় মুসলমান অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে নিয়ন্ত্রণ বাড়িয়েছে।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান সীমান্তের শিনজ্যাংয়ে হওয়া ধারাবাহিক সন্ত্রাসী হামলা জন্য বেইজিং ইসলামি জঙ্গিদের দায়ী করেছে। মানবাধিকার কর্মীরা বেইজিংয়ের দাবির বিরুদ্ধে বলেছে, ওই জঙ্গি আক্রমণগুলো যত না সন্ত্রাসী আক্রমণ তার চেয়ে বেশি চীনা নিয়ন্ত্রণের কারণে জন্ম নেওয়া ক্ষোভের কারণে হয়েছে।

মুসলমানদের বিষয়টি চীনের কাছে ক্রমেই ভিন্নমাত্রার গুরুত পাচ্ছে। এশিয়া, ইউরোপ ও আফ্রিকাকে যুক্ত করার জন্য চীনের নেতৃতে ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ নামের যে অর্থনৈতিক করিডোর তৈরির কাজ চলছে তার জন্য বিশ্বের কাছে ধর্ম বিষয়ে ভাবমূর্তি ঠিক রাখা দরকার চীনের।

সূত্রঃ রয়টার্স।


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ